রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তুচ্ছ কারণে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষে বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদার হত্যা মামলার আসামি শাওনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি রিভলবার ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গতকাল দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। শাওন উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা মাসাবো এলাকার মোতাহার হোসেনের ছেলে। এতে আরও জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার তারাব পৌরসভার মাসাবো এলাকার নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাসাবো নিজ বাড়ির দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো সাদা রঙের শপিং টিস্যু ব্যাগ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় একটি বিদেশি পয়েন্ট টুটু বোরের রিভলবার উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাওন জানায়, ওই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সে গুলি করেছিল। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এসআই মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন। বিল্লাল হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গত বুধবার তার স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তারাব পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু সুফিয়ান সোহানসহ ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আবু সুফিয়ানের নাম সোহান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে, গত ৩০ মে বিকালে বরপা এলাকায় রিফাত নামে এক তরুণের মোটরসাইকেলের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কা লাগে। পরে রিফাত ওই মাইক্রোবাস চালককে মারধর করেন। তারাব পৌরসভা যুবলীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ প্রিন্স হোটেলে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। সেই বৈঠকে রিফাতের পক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান সোহান অংশ নেন। বৈঠকে বায়েজিদের সঙ্গে রিফাতের তর্ক-বিতর্ক হয়। তর্কের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। মারামারিতে তাদের অনুসারীরাও যুক্ত হয়। হোটেলটি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় দুই গ্রুপের লোকজন এক পক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে সেই গুলি বিল্লাল হোসেনের গায়ে লাগে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

সর্বশেষ খবর