কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নগুয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল আজিজ তার মেয়ের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিলেন ২১ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিবন্ধন সনদ পাননি তিনি। পৌরসভা থেকে তাকে বলা হচ্ছে সার্ভার নষ্ট থাকায় কাজ হচ্ছে না। আজ না হয় কাল ঠিক হবে, এমন কথা বলে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে তাকে। আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিদিনই পৌরসভায় যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। জন্ম নিবন্ধন করাতে না পারায় পাসপোর্টও করাতে পারছেন না বলে জানান তিনি। আবদুল আজিজের মতো আরও অনেকেই প্রতিদিন পৌরসভায় ভিড় করছেন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য। কিন্তু কাজ না হওয়ায় মন খারাপ করেই ফিরতে হচ্ছে তাদেরকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সার্ভার নষ্ট নয়, দায়িত্বরত কর্মকর্তা দেশের বাইরে থাকা এবং মোটা অঙ্কের টাকা বকেয়ার কারণে সার্ভার বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের কাজটি করে থাকেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মদিনা আক্তার। তিনি এবার হজে চলে গেছেন। তার স্থলে পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মোদককে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সঞ্জয় মোদক জানান, তিন শরও বেশি আবেদন জমা হয়ে আছে। কাজ এগিয়ে রাখা হচ্ছে। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মদিনা আক্তার হজ থেকে আসার পর আপলোড দেওয়া হবে। পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা শুভঙ্কর পাল অপু জানান, বকেয়ার বিষয়টা মুখ্য নয়, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মদিনা আক্তার হজে চলে যাওয়ায় সার্ভারের পাসওয়ার্ড অন্য কারও জানা নেই। এ কারণে নিবন্ধন সনদ দেওয়া যাচ্ছে না। হজে যাওয়ার আগে পাসওয়ার্ড জটিলতা নিরসন করা হয়নি কেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মেয়র মহোদয় ঢাকায়। তিনি এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া জানান, আমার জানামতে পৌরসভার কোনো বকেয়া নেই। তবে পিডির হিসাবে ৩ লাখ টাকা বকেয়া উল্লেখ করা হচ্ছে। খুব শিগগির এটার সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।