নদী ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ভরার জন্য বসতবাড়ির কোলঘেঁষে গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হয়েছে। এর ফলে নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে মাগুরার শ্রীপুরের বিপুলসংখ্যক পরিবার। চার দিনে উপজেলার গঙ্গারামখালী গ্রামের মালোপাড়া ও বিশ্বাসপাড়ার অন্তত ১৫ পরিবারের বসতঘর, গাছপালা, ফসলি জমি গড়াই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে ক্ষতিগ্রস্তরা। হুমকির মুখে রয়েছে আরও অর্ধশতাধিক পরিবারের বাড়িঘর, গাছপালা ও ফসলি জমি। এ ঘটনায় এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ভুক্তভোগী কুমারেশ চক্রবর্তী জানান, নদী ভাঙন রোধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘আলিয়ার রহমান’ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নদীশাসন প্রকল্পের আওতায় জিও ব্যাগ ভরার জন্য ওই স্থানে বসতি এলাকা থেকে সম্প্রতি বালু উত্তোলন করে। সে সময় দূর থেকে বালু তোলার জন্য বলা হলেও তার তোয়াক্কা করেনি তারা। এর পরই এলাকার বিভিন্ন বাড়িঘর ও উঠানে ফাটল দেখা দেয়। শুক্রবার থেকে সেখানে ঘরবাড়ি, গাছপালা নদীতে ভেঙে পড়ছে। এর মধ্যে মালোপাড়া ও বিশ্বাসপাড়ার বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, দিলীপ, সুকুমার, সুবোধ, মধুসূদন, নারায়ণ, সঞ্জিত, বৈকুণ্ঠ, নিখিল, সরজিৎ, নীরোদের বাড়িঘর, গাছপালা নদীতে চলে গেছে। ফাটল ধরেছে অমরেশ, বিনয়, উজ্জ্বল, কালাচাঁদ, অমল, রবি, শ্যামল, সুবোল, তপন, গোপাল, কৃষ্ণ, অসিত, মনোজিৎ, বিশ্বজিৎ, শৈলেন, সাধন, অচিন্ত্য, সুভাষসহ অর্ধশতাধিক পরিবারের বাড়িঘর, গাছপালা ও জমি। তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বর্ষা মৌসুম এলেই ভাঙনে পুরো গ্রাম নদীতে চলে যাবে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করে। চৌদ্দপুরুষের বসতভিটা চোখের সামনে নদীর পেটে চলে যাচ্ছে, কিছুই করতে পারছে না। বালু তোলা বন্ধ করতে বারবার ঠিকাদার ও প্রশাসনের লোকজনকে জানালেও তারা গুরুত্বই দেননি। নদী ভাঙনের সংবাদ পেয়ে শনিবার জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে ঠিকাদারের প্রতিনিধি এরশাদ জানান, তারা বাঁধের কাজে ব্যবহারের জন্য বালু উত্তোলন করেছেন। তাদের ধারণা ছিল না এটি এমন হবে। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, ‘জিও ব্যাগ ভরার জন্য এখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে; বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাদের সে সময় ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। ছাড়া পাওয়ার পর আবার এসে সেখান থেকেই বালু তোলে।’ মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান সুজন জানান, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। সেখানে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন করায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে জিওবি ব্যাগ দিয়ে বাঁধা হবে। যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে, তাদের ব্যাপারে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
শিরোনাম
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে : মোশাররফ
- কুমিল্লা বোর্ডে ফেল থেকে পাশ ১০৮ জন
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
- ব্রিতে নবান্ন উৎসব উদযাপিত
- বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
- নবীনগরে কার্যত্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার
- একযুগের বেশি পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকদের কর্মবিরতি
- আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের ৪৫তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- বিইউবিটিতে ‘জব হান্টিং ২.০’ শীর্ষক সেশন অনুষ্ঠিত
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য করণীয় সব কিছুই করছে ইসি : আনোয়ারুল
- ‘দেশের মানুষ মনে করে হাসিনাকে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন’
- সাবেক মন্ত্রী মায়া ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের দুই মামলা
- ফ্যাসিবাদী শক্তি মোকাবিলায় জনগণ সক্রিয় থাকবে : আমানউল্লাহ
- কুয়েতে হোমনা প্রবাসীদের মিলনমেলা ও পিঠা উৎসব
- বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
- ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারাত্মক মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
- চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষক সংকটে বিঘ্নিত গুণগত শিক্ষা
- স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
- রূপগঞ্জের গোলাম ফারুক খোকন বিএসটিএমপিআইএ'র সভাপতি