দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত ফরিদপুরের ওপর দিয়ে প্রতিদিন ২১টি জেলার লাখো মানুষ সড়ক পথে যাতায়াত করে। পদ্মা সেতু দিয়ে ভাঙ্গা হয়ে এবং ফেরি দিয়ে পদ্মানদী পার হয়ে দৌলতদিয়া দিয়ে হাজারো গাড়ি ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে চলাচল করে থাকে। বর্তমানে এ দুটি মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বেড়েছে অনেক। যানবাহন চলাচল বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনাও। বেড়েছে মৃত্যুর মিছিল। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এ মহাসড়ক দুটিতে ৩৫১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত হয়েছেন ২৭৭ জন। আহত হয়েছেন ৫৫৫ জন। যার মধ্যে দেড় শতাধিক ব্যক্তি পঙ্গত্ব বরণ করেছেন। সংশ্লিষ্টদের দাবি, সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ গাড়ি চালকদের অদক্ষতা ও বেপরোয়া গতি। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অবৈধভাবে চলা থ্রি হুইলারের কারণেও ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ চালকদের অদক্ষতা, দ্রুতগতি ও থ্রি হুইলার। তাছাড়া বেশ কয়েকটি সড়ক ও মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিকারে উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলো কার্যকর নেই। সম্প্রতি, শহরের কানাইপুরে বাস-পিকআপের সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত হলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ফরিদপুরের ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন চালকদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। এটি বেশ প্রশংসা কুড়ায় সবার মধ্যে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযানও চালানো হয়। আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয় কয়েক চালককে। জরিমানা করা হয় বাস-ট্রাক চালকদের। তবে বর্তমানে এ কার্যক্রমটি বন্ধ রয়েছে।
ফরিদপুর সচেতন নাগরিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক পান্না বালা বলেন, বড় কোনো দুর্ঘটনা হলে কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। দুর্ঘটনার পর বলা হয় গাড়ির ফিটনেস নেই। চালকের লাইসেন্স নেই। নানা অজুহাত। অথচ সড়কে গাড়ি চলার সময় এসব খতিয়ে দেখেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।