কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর নিরুদ্দেশ হন আখাউড়ার পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল। আখাউড়ার রাধানগরে কাজলের সাত তলা বাড়িতে হামলা করে বিক্ষুব্ধরা। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলার সময় বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যান মেয়র। তিনি নিরুদ্দেশ হওয়ার পর অরক্ষিত হয়ে পড়ে খলিফা সাম্রাজ্য। রাধানগরের তাঁর চারটি বাড়িসহ বিপুল সম্পদ এখন অরক্ষিত। সদ্যসাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কাজল পরপর তিনবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় এলাকায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। দলীয় রাজনীতিতে বিভাজন, প্রতিপক্ষকে শক্ত হাতে দমন, মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষের রাজনীতিবিদদের হয়রানি, উপজেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ, দলীয় প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বদলি বাণিজ্য, চাকরির তদবির ও স্থলবন্দরের ব্যবসায় প্রভাব খাটিয়ে তাকজিল খলিফা কাজল অর্জন করেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, গত ১৫ বছর কাজলের কারণে তাঁরা দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেননি। মেয়র বিভিন্নভাবে তাঁদের হুমকিধমকি দিতেন। ৫ আগস্ট মেয়রের রাধানগরের সাত তলা বাড়িতে হামলা করে বিক্ষুব্ধরা। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের ওপর তিনি যে অত্যাচার চালিয়েছেন এরই প্রতিফলন এটা। হামলার পর যে লুটপাট হয়েছে তা আরেকটি পক্ষের কাজ। এ ব্যাপারে জানতে কাজলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।