ফরিদপুরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্করের ব্যাংক হিসাব এবং স্ত্রীর জামিলা পারভীন কুমকুমের নামে অর্জিত সব স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করেছে দুদক। ফরিদপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আকবর আলী খান গত বুধবার এ আদেশ দেন। ৭ আগস্ট তুহিন লস্কর ও স্ত্রী কুমকুমের প্রায় ৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন দুদুকের উপসহকারী পরিচালক ইমরান আকন। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এমন কোনো চিঠিও পাইনি। দুদুকের উপসহকারী পরিচালক ইমরান আকন জানান, তুহিন লষ্করের স্ত্রীর আয়ের কোনো উৎস না থাকলেও ভুয়া ব্যবসা দেখিয়ে এ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি বলেন- খুলনার হাউজিং এস্টেটে একটি পাঁচ তলা বাড়ি, ফরিদপুরে বিলাসবহুল দুটি ফ্লাট এবং গোপালগঞ্জ শহরে বেশকিছু জমি রয়েছে তার নামে। স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের বিবরণে দেখা যায়, খুলনার খালিশপুরে গোয়ালপাড়া মৌজায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের জমি, গোয়ালপাড়া মৌজায় প্রতিতলায় ১ দশমিক ৮০৫ কাঠা জমি ও পাঁচ তলা দুই ইউনিটের বাড়ি যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি, ফরিদপুরের হাবেলী গোপালপুর মৌজায় ০০.৩৫ শতাংশ জমি যার মূল্য দেড় লাখ, হ্যাবেলী গোপালপুর মৌজায় ১২০০ বর্গফুটের ফ্লাট যার মূল্য ৪০ লাখ, ফরিদপুরের কমলাপুর মৌজায় ১২০০ বর্গফুটের ফ্লাট যার মূল্য ৩০ লাখ, গোপালগঞ্জ সদরের খাটারা মৌজায় ৫ দশমিক ২০ শতাংশ জমির মূল্য ৪০ লাখ, গোপালগঞ্জ সদর খাটারা মৌজায় ৭ দশমিক ২০ শতাংশ জমির যার মূল্য ৯ লাখ, গোপালগঞ্জ সদরের ঘোড়ারা মৌজায় ৫ দশমিক ২০ শতাংশ জমির মূল্য ৬ লাখসহ মোট পৌনে ৩ কোটির টাকার সম্পদ। ব্যাংক হিসাব ক্রোক তালিকায় রয়েছে, ফরিদপুর ব্র্যাক ব্যাংকে তুহিন লস্করের হিসাবে নগদ ২৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর একই ব্যাংকে দুটি আলাদা অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮০ লাখ টাকা।