চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় বেড়েছে দালালের দৌড়াত্ম্য। অভিযোগ রয়েছে দালাল না ধরলে পাওয়া যায় না কাক্সিক্ষত সেবা। এমনকি দালালের মাধ্যমে থানায় নিয়মিত সালিশ বসাচ্ছে পুলিশ। সেখানে অর্থ আত্মসাৎসহ জায়গা-জমি দখল ও দখলমুক্ত করতে বিচার করা হচ্ছে চুক্তির বিনিময়ে। সদর মডেল থানার ওসি রইস উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘তালিকা দেন- দেখি কে দালাল’। থানায় সালিশ বসানো প্রসঙ্গে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিচার-সালিশে তেমন আগ্রহ দেখান না। এ কারণে থানায় কিছু পারিবারিক বিরোধ মীমাংসা করা হয়।
অভিযোগ আছে, ফ্যাসিস্ট সরকারের মদতপুষ্ট কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা এখনো সদর থানায় কর্মরত। তারা পুলিশ প্রসাশনকে বিতর্কিত করতে নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। অভিযোগ আছে, সদর মডেল থানার এএসআই, এসআই থেকে ইন্সপেক্টরদেরও নিজস্ব দালাল রয়েছে। দালালরা প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় সমাধানে পার্টির সঙ্গে অর্থের চুক্তি করে পছন্দের পুলিশ কর্তাদের দিয়ে থানায় প্রায় নিয়মিত সালিশ বসাচ্ছেন। বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে ইচ্ছেমতো দেওয়া হয় রায়। এতে অনেক সময় বাদী-বিবাদী দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হন এমন অভিযোগও রয়েছে। এক ভুক্তভোগী জানান, সাধারণ মানুষ থানায় সেবা নিতে অনেক সময় নিরাশ হয়ে ফিরে যান। দালাল ধরলে মেলে কাক্সিক্ষত সেবা। দালাল না ধরলে পুলিশও সেবা দিতে আগ্রহ দেখায় না। সদর থানা দালালমুক্ত চান তিনি।