কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানায় গ্রেফতারকৃত এক মাদককারবারির মৃত্যু নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠলেও জেলা পুলিশ একে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেছে। পুলিশের ভাষ্য, ওই ব্যক্তি আগে থেকেই হৃদরোগে ভুগছিলেন এবং হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাঙ্গরা বাজার থানার উত্তর পাড়ার মাদক কারবারি মো. হেলালের বাড়ি থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন—মো. হেলাল (৪১), শারমিন ওরফে সখিনা (৩৫), শেখ জুয়েল (৪৫), মো. হান্নান (২১) এবং খোকন (৪৫)।
এ ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৩৬(১) সারণি ১০(ক) ধারায় মামলা (নং-২০, তারিখ-১৯/০৬/২৫) রুজু করা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শেখ জুয়েল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে থানার হাজতে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। খবর পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় এবং পুলিশি সহায়তায় দ্রুত মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের দাবি, শেখ জুয়েল দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন এবং এর আগে স্ট্রোকও করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলেও পুলিশ তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। পুলিশের ভাষ্যমতে, ঘটনাটি ‘ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’।
এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ প্রশাসন ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য বা অপপ্রচার না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক