পাহাড়ে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। ঘরে ঘরে এখন জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগী। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। এতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে জেলাজুড়ে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভির করছেন রোগীরা। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে শয্যার চেয়ে বেশি ভর্তি রোগী। জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে ঠান্ডা রোগীর সবচেয়ে বেশি সাজেক, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি ও ফারুয়ায়। সরেজমিনে দেখা যায়, ১০০ শয্যার রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। শয্যা সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বাধ্য হয়ে অনেক রোগী রাখা হচ্ছে মেঝেতে। হাসপাতালে জনবল সংকট থাকায় রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-কর্মচারীরা। অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সওকত আকবর বলেন, আমরা চেষ্টা করি রোগীদের যথাযথ সেবা দিতে। শীতকাল তাই ঠান্ডাজনিত রোগী বেড়েছে। শয্যা, ওষুধ আর জনবল সংকটের কারণে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। রাঙামাটি সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা জানান, রাঙামাটির উপজেলাগুলো খুবই দুর্গম। সেখানে জেলা সদরের চেয়ে শীতের প্রকোপ বেশি অনুভূত হয়। ওইসব এলাকার বাসিন্দারাও তেমন সচেতন নন। এসব কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হন। স্থানীয় শ্যামলী চাকমা বলেন, তীব্র শীত অনুভব হচ্ছে পাহাড়ে। আমার সন্তানের গলায় টনসিল ছিল। কথা বলতে পারছে না। তিনবার ঘুরে এসেছি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে একটা যথাযথ চিকিৎসক পাইনি। বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। একই কথা জানান শান্তিময় চাকমা। তিনি বলেন, জ্বর ও সর্দি ছিল। গলার সমস্যা ছিল জটিল। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে একজনও পাওয়া যায়নি ইএনটি চিকিৎসক। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দিয়ে বহির্বিভাগে রোগী দেখে বিদায় করা হচ্ছে।