সালিশের নামে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠার পর যশোর সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম মোস্তফাসহ দুই নেতাকে দলের সাংগঠনিক ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অব্যাহতি পাওয়া অপর নেতা হলেন যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মো. আবদুল হালিম।
দলীয় সূত্র জানায়, ১৭ এপ্রিল সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নে একটি রাস্তা নির্মাণ কেন্দ্র করে ওই দুই নেতা সালিশ বসান। এরপর তারা করিচিয়া গ্রামের মালেকা বেগম নামের এক নারীর সেমিপাকা বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত মালেকা বেগমের ছেলে শাকির আহমেদ বলেন, রাস্তার জমি দেওয়া নিয়ে প্রতিবেশী ফজরের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। বাড়ির পাশ থেকে রাস্তার জমি দিতে চাইলেও তারা মানেননি। এরপর বিএনপি নেতাদের দিয়ে সালিশ করে বাড়ির মাঝখান দিয়ে রাস্তা বের করতে বাড়িটি ভেঙে দেয়। এসময় ঘরের আসবাবপত্র, সিলিং ফ্যান, বাইসাইকেলসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে দলের সবাইকে ১৬টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা ভঙ্গ করলে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।