দিনাজপুরের বীরগঞ্জে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের পর আশা রানী রায় (১৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে প্রতিষ্ঠানটি ঘেরাও করেন মৃতের স্বজন ও এলাকাবাসী। ঘটনার পরই ক্লিনিক মালিক-কর্মচারী পালিয়ে যান। শুক্রবার রাত ৮টায় বীরগঞ্জ পৌর শহরের একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। মৃত আশার রানী বীরগঞ্জের সুজালপুর ইউনিয়নের জগদল গ্রামের হৃদয় রায়ের স্ত্রী।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাতেই ক্লিনিকে অবস্থান নেয় পুলিশ। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। নবজাতক সুস্থ্য আছে জানায় পরিবার। ওসি আব্দুল গফুর জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজ সুলতানা জানান, নিউ একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সরকারিভাবে অনুমোদন পায় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর প্রতিষ্ঠানে অবকাটামো ও প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদন নবায়ন হয়নি। অবহেলায় মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসাদ শেখকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইউএনও তানভীর আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে বীরগঞ্জ পৌর শহরের হৃদয় রায়ের স্ত্রী আশা রানীকে একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। বিকালে দিনাজপুর মেডিকেলের চিকিৎসক ইয়াসমিনের নেতৃত্বে অস্ত্রপচারে কন্যা সন্তান প্রসব করেন তিনি। প্রসবের পর সন্তান সুস্থ থাকলেও আশাকে দ্রুত দিনাজপুর মেডিকেলে পাঠায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এরপর তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে।