চার বছর ধরে পড়ে আছে কুমিল্লার প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা নতুন তিনটি রেলস্টেশন। এতে নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রপাতি, যাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন সেবা থেকে। খালি পড়ে থাকায় সন্ধ্যায় সেখানে মাদকসেবী ও বখাটেদের আনাগোনা বাড়ে। স্টেশনগুলো চালু হলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে, মনে করেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২১ সালে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে কুমিল্লা নগরীর ময়নামতী, লালমাই উপজেলার আলীশ্বর ও নাঙ্গলকোট উপজেলার নাওটি রেলস্টেশন আধুনিকায়নের কাজ শেষ হয়। একই সময়ে একই মডেলের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই, কুমিল্লা সদর উপজেলার সদর রসুলপুর ও ব্রাহ্মণপাড়ার শশীদল রেল স্টেশন নির্মাণ করা হয়।
সূত্রমতে, স্টেশনগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটে অবস্থিত। স্থানীয় সিরাজুল হক ও এহতেশামুল আরেফীন রুমেলসহ কয়েকজন বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্টেশনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। এখন এগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। নির্মাণের চার বছরেও এগুলো চালু হয়নি। খালি পড়ে থাকায় সন্ধ্যায় এখানে বখাটে ও মাদকসেবীদের আনাগোনা বাড়ে। তারা আরও বলেন, ময়নামতী স্টেশনের পাশে কুমিল্লা ইপিজেড ও বিএডিসির সার গোডাউন। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মালামাল ও যাত্রী পরিবহনেও এ স্টেশনটি ভূমিকা রাখতে পারে। ময়নামতীসহ বন্ধ স্টেশনগুলো চালু হলে মানুষ উপকার পাবে। ময়নামতী রেলস্টেশনে সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর জাঙ্গালিয়া এলাকায় প্রাচীন রেলস্টেশনটির অবস্থান। স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা ফ্ল্যাটফর্মে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, নতুন তিনটি স্টেশনে প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্রামার, সিগন্যালিং রুম, স্টেশন মাস্টার রুম, ওয়েটিং হল, ফ্ল্যাটফর্ম ও ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। জনবলসংকটের কারণে ময়নামতি রেলস্টেশন, আলীশ্বর রেলস্টেশন ও নাওটি স্টেশন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। জনবল নিয়োগ হলে স্টেশনগুলো পুনরায় চালু হবে।