কিশোরগঞ্জ শহরের একরামপুর থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। একরামপুর থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত রাস্তাটি প্রশস্ত হলেও রেলস্টেশন থেকে মেডিকেল পর্যন্ত অংশ একেবারেই সরু। নিকলী উপজেলা সদর থেকে কটিয়াদীর করগাঁও হয়ে মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত রাস্তাটিও খুবই অপ্রশস্ত। সরু রাস্তায় রোগীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে।
রাস্তাটির প্রশস্ততা কোথাও ৮ ফুট আবার কোথাও ১২ ফুট। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, পিকআপ, ট্রাকসহ ছোটবড় যানবাহন চলাচল করে। একটি অ্যাম্বুলেন্স গেলে অন্য গাড়ি বিপরীত দিক থেকে অতিক্রম করতে পারে না। ফলে যখনতখন সৃষ্টি হয় যানজট। যা কখনো কখনো পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তাটি একদিকে সরু, তার ওপর খানাখন্দে ভরা। কোথাও রয়েছে বড় বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
শহর থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হয় রেল স্টেশন কিংবা মনিপুরঘাট হয়ে সিদ্ধেশ্বরী মন্দির সড়ক দিয়ে। হাওর অঞ্চলের লোকজনও এ সড়ক ব্যবহার করেন। রাস্তাটি সরু এবং ভাঙাচোড়া হওয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. হেলিশ রঞ্জন জানান, হাসপাতালের সামনের সড়কটি খুবই সরু হওয়ায় প্রতিনিয়ত সমস্যা হচ্ছে। সব সময় যানজট লেগেই থাকে। সমস্যা সমাধানের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি লিখেছেন তিনি। মন্ত্রণালয় চিঠিটি গ্রহণ করে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে মেডিকেল কলেজ হয়ে নিকলী পর্যন্ত সড়কটির প্রশস্ততা খুবই কম। রেলস্টেশন থেকে মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত কোথাও ৮ এবং কোথাও ১২ ফুট। সড়কটির বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অর্থবছরে যে কর্মসূচি রয়েছে তাতে মেডিকেল কলেজের সামনে রিজিট পেভমেন্ট করার পরিকল্পনা আছে। কাজটি সম্পন্ন হলে ভোগান্তি অনেকটা কমবে আশা করেন তিনি।