বেশি লাভের আশায় দিনাজপুরে চাষিরা শীতকালীন সবজি চাষ ও ফসল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্বাভাবিকভাবে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে শীতকালীন সবজি ওঠানো হয়। ওই সময়ে সরবরাহ বেশি থাকায় কাক্সিক্ষত দাম মেলে না। বর্ষা মৌসুম শেষে বাজারে সবজির ঘাটতি দেখা দেয়। এ সময় দামও বেশি, চাহিদাও থাকে বেশি। এসব মাথায় রেখে আগাম সবজি চাষে ঝুঁকেছেন কৃষক। সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, মাঠজুড়ে আবাদ হয়েছে শিম, মুলা, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, কাঁকরোল, লাউ, লালশাক, ধনিয়াপাতা। সদর উপজেলার নশিপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি ৪৫ শতক জমিতে তিন ভাগে আগাম জাতের সবজি চাষ শুরু করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁঠালি বেগুন ও টম্যাটো। আলাদীপুর ইউনিয়নের ভিমলপুর গ্রামের হামিদুল ইসলাম ফুলকপির জমিতে কীটনাশক স্প্রে করছিলেন। তিনি জানান, ৩৫ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের কপি চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কপি তোলা পর্যন্ত খরচ হবে প্রায় ৩০ হাজার। ২০-২৫ দিনের মধ্যে বাজারে ফসল তুলতে পারবেন আশা করছেন তিনি।
ফুলবাড়ী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা শাহানুর রহমান বলেন, সবজি চাষ লাভজনক। চাষিরা সবজি চাষে ঝুঁকছেন। এ সবজি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জেলায় যায়। উপপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে জেলার ১৩ উপজেলায় ২৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ১৫০ হেক্টরে।