রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মহসিন আলী নামের এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেয়। তারা মৃত রোগীর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এসে মৃত রোগীর ছেলে আনারুল ও বাবুকে আটক করে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার মহসিন আলী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে রামেক হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন। রবিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের অবহেলায় মারা যান মহসিন আলী। এ নিয়ে মহসীন আলীর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দলবল নিয়ে লাঠিসোটা হাতে ইন্টার্নরা রোগীর স্বজনদের ওপর হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং রামেক ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপুর সঙ্গে হাতাহাতি হয় মহসীন আলীর ছেলে আনারুল ও বাবুর। এরপর দলবল নিয়ে লাঠিসোটা হাতে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে অপু। এতে মহসীনের স্ত্রী রাহেলা বেগমের হাত ভেঙে যায়, ছেলে বাবুর মাথা ফেটে যায় এবং অপর ছেলে আনারুলেরও জখম হয়। এরপর তাদের সবাইকে আটকে রাখা হয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ গেলে মহসিনের স্ত্রীকে হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হলেও দুই ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ তাদের আটক করে নগরীর রাজপাড়া থানায় নিয়ে যায়।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. তৌফিক উদ্দিন মোহাম্মদ বেলাল বলেন, ‘রোগীর স্বজনদের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার দাবি তুলেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা ইন্টার্নদের সঙ্গে আলোচনা করছি।’
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ