পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ঘোষণার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও পটুয়াখালীর গলাচিপায় আধুনিক মানের কোনো ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হয়নি। প্রতি বছর আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উপজেলার বাসিন্দাদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ ভষ্মীভূত হচ্ছে। এতে উপজেলার ব্যবসা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
উপজেলা শহরের হরিদেবপুর, উলানিয় বন্দর, চিকনিকান্দি ব্রিজ বাজার, আমখোলা, চৌরাস্তা, লঞ্চঘাট নতুন বাজার, কলেজ পাড়া, মুসলিম পাড়া, লিপি সিনেমা চত্বর, পেট্রল, অকটেল, ডিজেল, কেরোসিন ও ফার্নিস অয়েলের বেশ কয়েকটি অস্থায়ী মজুদাগার ও বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ, ব্যাংক বীমা অফিস, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
নৌ সড়কপথে চলাচলকারী যানবাহনে প্রতিদিন জ্বালানি তেল সরবরাহ এবং মালামাল উঠা-নামার সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় যে কোন মুহূর্তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটার আশংকা ও ঝুঁকি রয়েছে। গলাচিপা উপজেলা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে ফায়ার স্টেশন সর্ভিস আছে। যে কোনো দুর্ঘটনায় সেটির ওপরই ভরসা করতে হয়।
প্রায়ই জেলা শহর থেকে দমকল বাহিনীর গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পৌঁছতে সব কিছু আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যায়। গত ১০ বছরে শুষ্ক মৌসুমে উপজেলা শহরের পৌর সদর রোড, উলানিয়া বাজার, আমখোলা বাজার, চিকনিকান্দি ব্রিজ বাজার, আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ২০-৩০টি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অর্ধশতাধিক দোকান-পাট পুড়ে ব্যবসায়ী ও ভবনের মালিকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সামসুজ্জামান লিকন বলেন, জরুরি ভিত্তিতে আধুনিক মানের একটি রোডস্ অ্যান্ড রিভার্স ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকা দরকার। দীর্ঘদিনেও তা স্থাপন না করায় এখানকার এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা