যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চারটি ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ৩ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে এবং ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ জানান, ওই চার ওয়ার্ডের পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর তারা খুলনায় আপিল আদালতে আবেদন করেছিলেন। সেখানেও নির্দেশনা বহাল রাখা হয়। এরপর তারা হাইকোর্টে আপিল করলে হাইকোর্ট তাদের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় সংরক্ষিত দুই নম্বর ওয়ার্ডের কামরুন্নাহার শাহিনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৫ জানুয়ারি। অন্য চারজনের বিষয়ে শুনানির কোন তারিখ নির্ধারণ করেননি হাইকোর্ট। সে কারণে ওই ওয়ার্ডগুলোর নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন সাধারণ সদস্যের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মনিরুল ইসলাম ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইকবাল আহমেদ এবং সংরক্ষিত সদস্য পদের ২ নম্বর ওয়ার্ডে কামরুন্নাহার শাহিন, নাজনিন নাহার ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ জারিন রহমান। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা পাওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই চার ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে শুধুমাত্র সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চেয়ারম্যান শাহ হাদীউজ্জামান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
১৫ সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য ও পাঁচ জন সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত করবেন জেলার এক হাজার ৩১৪ জনপ্রতিনিধি। সদস্য পদে লড়ছেন ৬৯ প্রার্থী। এরমধ্যে সাধারণ সদস্য পদে ৫৮ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১ জন।
বিডি প্রতিদিন/২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬/ফারজানা