শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৪৭, রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫ আপডেট: ১২:১৪, রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
অনলাইন ভার্সন
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা যত দিন পর্যন্ত ‘ক্ষমতায় যাওয়া’র ও ‘দেশশাসন’ করার মতো শব্দগুলো তাঁদের মস্তিষ্ক থেকে বের করে দিতে না পারবেন, তত দিন পর্যন্ত দেশ ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই। ‘ক্ষমতা’ ও ‘শাসন’ শব্দ দুটির সঙ্গে যে রাজতান্ত্রিক অথবা ঔপনিবেশিক দম্ভ রয়েছে, তা রাষ্ট্রপরিচালনায় জনগণকে তাদের কাক্সিক্ষত অংশীদারত্ব থেকে বঞ্চিত করার ইঙ্গিত দেয়, যাদের কাঁধে পা দিয়ে রাজনীতিবিদরা ‘ক্ষমতা’র গদিতে জেঁকে বসেন। দেশটি আর ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ থাকে না। সংবিধানে জনগণের কাছে জবাবদিহির শর্ত আছে, কেউ জবাবদিহির ধার ধারেন না। তাঁদের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা থাকা তো দূরের কথা। বাংলাদেশে ভোটে বা বিনা ভোটে অনুষ্ঠিত ১২টি জাতীয় সংসদে যাঁরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাঁরা কি কখনো তাঁদের নির্বাচনি প্রচারাভিযানে বলেছেন, ‘নির্বাচিত হলে আমি একটি সরকারি প্লট নেব’, ‘শুল্কমুক্ত গাড়ি ক্রয় করব’, ‘ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকায় স্ত্রী-পুত্র-কন্যার নামে কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করব’ ইত্যাদি।

না, তাঁরা তা বলেন না। তাঁরা যা করবেন না বা বিশ্বাস করেন না, জনগণের সামনে তা-ই বলেন। তাঁরা যা বলেন না, নির্বাচিত হয়ে মনের গহিনে পুষে রাখা সুপ্ত আকাক্সক্ষাগুলো পূরণের উৎসবে মেতে ওঠেন। তাঁরা নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা ‘হলফনামায়’ দেখানো সম্পদের পরিমাণ কয়েক হাজার টাকা, স্ত্রীর কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েক বিঘা জমির পরিমাণ বন্যার পানির মতো রাতারাতি বেড়ে চলে। মনে হয় তাঁরা আলাদিনের জাদুর চেরাগ হাতে পেয়েছেন। অসৎ উপায়ে অর্জিত সম্পদ বিদেশে পাচার করেন। সন্তানদের পড়াশোনা করতে পাঠান বিদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। যে কোনো উপায়ে নির্বাচিত হয়ে তাঁরা হয়ে ওঠেন সর্বভূক এবং ভক্ষণের এই প্রতিযোগিতায় তাঁরা কোনো প্রতিপক্ষ সহ্য করতে চান না। রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস আওয়ামী লীগের ছিল না। তাদের লালিত নীতি ছিল ‘মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভান্ডার!’ ছিঁচকে চুরির অভ্যাস রপ্ত করতে পারেনি আওয়ামী লীগ।   

১২টি জাতীয় সংসদের কতজন সদস্য জানতেন অথবা ভবিষ্যতেও যাঁরা নির্বাচিত হবেন, জাতীয় সংসদের মূল কাজ দেশ ও জনগণের কল্যাণে আইন প্রণয়ন করা। আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া অথবা আইনে কী আছে, তা জানার চেষ্টাও করেন না। স্পিকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ১২টি জাতীয় সংসদের কতজন সদস্য জানতেন সমস্বরে ‘হ্যাঁ,’ বা ‘না’ উচ্চারণ করেন। আইন পাস হয়ে যায়। সংসদ সদস্যরা কেবল নিজ এলাকায় কোনো না কোনো ব্যয়বহুল প্রকল্প নিতে তদবির করেন। প্রকল্প মানেই ঠিকাদারি, ঠিকাদারি মানেই প্রকল্পের অর্থ নয়ছয় করার অবারিত সুযোগ। যে কোনো উপায়ে ‘ক্ষমতা’য় গিয়ে তাঁরা বাস্তবে জনগণের মনিব হয়ে ওঠেন এবং গণবিরোধী আচার-আচরণ শুরু করেন। এই গণবিরোধী হওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মতো মুনশিয়ানা অন্য কোনো দল প্রদর্শন করতে পারেনি। বিএনপি যখন সরকারে ছিল, তখন তারা আওয়ামী লীগকে অনুসরণ করতে যে চেষ্টা করেনি, তা নয় কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো অন্যায়-অনাচার ও দুর্নীতির খেলায় নেমে বিএনপি নিজেদের নিতান্তই শিশু বলে প্রমাণ করেছে। গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং পারিষদবর্গের পলায়নে বিএনপি প্রায় খেলোয়াড়শূন্য রাজনৈতিক ময়দানে বাধাহীন গোল দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, যেন এমন সুযোগ আর কখনো তারা পাবে না। নির্বাচনে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য কোনো বিলম্ব মেনে নিতে তারা রাজি নয়।

আওয়ামী লীগ যখনই রাষ্ট্রপরিচালনার সুযোগ পেয়েছে, তখনই তারা দানবে পরিণত হয়েছে। প্রতিপক্ষকে সহ্য না করার যে দীক্ষা ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়ের মধ্য দিয়ে লাভ করেছিল, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই দীক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে হেন অন্যায় নেই করেনি। রাষ্ট্রকে শেখ মুজিব যেমন তাঁর ব্যক্তিগত উত্তরাধিকারে পরিণত করেছিলেন, সেই উত্তরাধিকারকে বংশপরম্পরায় অব্যাহত রাখার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন শেখ হাসিনা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে গণতন্ত্রের ইতিহাসে জঘন্যতম তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এসব নির্বাচনকে ‘নির্বাচন’ বললেও যে কোনো দেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে অপমান করা হবে। বিধির বিধানে তার ক্ষমতার আসন উল্টে না গেলে তার ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’-এর অধীনে জনগণ শেখ পরিবারের প্রজায় পরিণত হতে আর বেশি দিন লাগত না।

আগেই উল্লেখ করেছি, ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ যুক্তফ্রন্টের প্রধান শরিক হিসেবে প্রথমবার ‘ক্ষমতা’র স্বাদ গ্রহণ শুরু করেছিল। কিন্তু আওয়ামী মুসলিম লীগ ও এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক পার্টির মধ্যে সার্বক্ষণিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতে আওয়ামী লীগ তখন ক্ষমতার পুরো স্বাদ নিতে না পেরে উন্মাদ হয়ে উঠেছিল। সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুতে শেখ মুজিব হয়ে উঠেছিলেন আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র নেতায়। এ কথা সত্য, তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও বাঙালিদের ক্ষমতা লাভের পথে বাধা সৃষ্টি করা হলে পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগ কেন জনগণের সেবা ও তাদের ভাগ্যোন্নয়নের পরিবর্তে ক্ষমতার সব চর্ব্য, চোষ্য, লেহ্যর আস্বাদনে মরিয়া হয়ে উঠেছিল, তার সূচনা ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, যার ওপর সামান্য আলোকপাত করা আবশ্যক।

পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলকে উপনিবেশের মতো ব্যবহার করার জন্য ব্রিটিশ শাসনের কায়দায় পাকিস্তানি শাসকরাও তাদের পছন্দনীয় ব্যক্তিকে পূর্ব পাকিস্তানের ‘গভর্নর’ পদে নিয়োগ করতেন তাদের স্বার্থ দেখাশোনা এবং বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের ওপর খবরদারি করার জন্য। এ ঘটনাই ঘটেছিল ১৯৫৪ সালে পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী যুক্তফ্রন্ট সরকারকে স্বেচ্ছাচারমূলকভাবে ভেঙে গণতান্ত্রিক শাসনের সূচনালগ্নেই তা বানচাল করে পূর্ব পাকিস্তানে স্থায়ী রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে। এ জন্য আওয়ামী লীগও কম দায়ী ছিল না। 

নূরুল আমিনের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগকে হটানোর উদ্দেশে এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট মিলিতভাবে নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রাদেশিক আইনসভার ৩০৯ আসনের মধ্যে মুসলিম লীগ লাভ করে মাত্র ১০টি আসন। যুক্তফ্রন্ট ২৩৭টি আসনের মধ্যে ২২৩টি আসনে জয়ী হয়। এর মধ্যে প্রধান শরিক আওয়ামী মুসলিম লীগ সবচেয়ে বেশিসংখ্যক অর্থাৎ ১৪৩টি আসন পেলেও যুক্তফ্রন্টের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করা হয় এ কে ফজলুল হককে। মন্ত্রিসভা গঠন প্রশ্নে মতপার্থক্য সৃষ্টি হলে আওয়ামী লীগ প্রথমে মন্ত্রিসভায় যোগদানে বিরত থাকলেও পরে তাদেরই অধিকসংখ্যক মন্ত্রী নেওয়া হয়। কিন্তু যুক্তফ্রন্টের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের অবসান না ঘটায় যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা বাতিল ও পূর্ব বাংলায় গভর্নরের শাসন জারি করা হয়।

১৯৫৫ সালে যুক্তফ্রন্ট সংসদীয় দল আবার বৈঠকে মিলিত হলেও তাতে শরিক দলগুলো, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও কৃষক শ্রমিক পার্টির মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট ও দৃশ্যমান হয়েছিল। শুধু সংসদীয় দল নয়, রাজনৈতিক ময়দানেও আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব সহ্য না করার নীতি গ্রহণ করে, যার প্রথম প্রদর্শন ঘটে মওলানা ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) পল্টন ময়দানে আয়োজিত জনসমাবেশে হামলা চালিয়ে পণ্ড করার মধ্য দিয়ে। প্রদেশে তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা ছিল। কৃষক শ্রমিক পার্টি সরকারকে চ্যালেঞ্জ করার মতো শক্তিশালী ছিল। তাদের টানাপোড়েনে প্রাদেশিক সরকারের ও কেএসপি ও আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব-কলহের অবসান ঘটেনি। একের পর এক প্রাদেশিক সরকার পরিবর্তিত হতে থাকে। নতুন একটি দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার মতো ধৈর্য ও সহনশীলতা দুটি দলেরই ছিল না। এক দল ক্ষমতায় না থাকলে আরেক দল স্বস্তি বোধ করে, তাদের প্রতিপক্ষ দল ক্ষমতায় নেই।

আইনসভার কিছু সদস্যের নাম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কেএসপি ও আওয়ামী লীগের তালিকায় ছিল। গভর্নর উভয় দলের নেতাদের ডেকে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের তাঁর সামনে উপস্থিত করে তাদের দাবির যথার্থতা প্রমাণ করতে বলেন। একদিন সকালে কেএসপির বর্ষীয়ান নেতা ও কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য মি. আলীকে সঙ্গে নিয়ে গভর্নমেন্ট হাউসে যান। গভর্নর সুলতানউদ্দীন আহমেদকে জানান, মি. আলী কেএসপির সদস্য এবং তিনি আওয়ামী লীগের সদস্য নন। গভর্নরের এডিসি মেজর এস জি জিলানি তাঁর ‘ফিফটিন গভর্নরস আই সার্ভড উইথ’ গ্রন্থে বর্ণনা দিয়েছেন, ওই রাতেই সাড়ে ১১টার দিকে গভর্নমেন্ট হাউসে দ্রুতবেগে দুটি গাড়ি আসে। প্রথম গাড়ি থেকে নামেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর পেছনে অন্যান্যের মধ্যে মি. আলী ছিলেন, যিনি সকালে গভর্নমেন্ট হাউসে এসেছিলেন। তাঁর চুল এলোমেলো, পরনে লুঙ্গি এবং চেহারা বিধ্বস্ত। শেখ মুজিবুর রহমান এবং আরও দুই ব্যক্তি তাঁকে নিয়ে গভর্নরের পাঠকক্ষে যান। জানা যায়, মি. আলী সকালে গভর্নমেন্ট হাউসে এসে কেএসপির পক্ষে তাঁর সমর্থনসূচক স্বাক্ষর দিয়েছেন জানার পর আওয়ামী লীগ নেতারা বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পিটিয়েছেন, হুমকি দিয়েছেন এবং এখন সঙ্গে এনেছেন কেএসপির প্রতি তাঁর সমর্থন প্রত্যাহার করানোর জন্য। তিনি গভর্নরকে বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস তাঁকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে এনেছিলেন। আসলে তিনি আওয়ামী লীগের লোক, এখন তিনি তাঁর ভুল সংশোধন করতে এসেছেন।

গভর্নরের শাসনের অবসানের পর প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনের প্রথম দিন ছিল ১৯৫৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সদস্য দেওয়ান মাহবুব আলী স্পিকার কেএসপিদলীয় আবদুল হাকিমের বিরুদ্ধে এই মর্মে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন যে স্পিকার হাকিম ‘মানসিক অপ্রকৃতিস্থ’ ব্যক্তি এবং দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য। এ নিয়ে আইনসভায় প্রচণ্ড হট্টগোল শুরু হয়। সদস্যরা পরস্পর হাতাহাতি করেন। তিন দিন পর ১৯৫৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রাদেশিক আইনসভার অধিবেশন বসলে সভাপতিত্ব করছিলেন ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী। তিনিও কেএসপির সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগ ডেপুটি স্পিকার পদে তাঁকে সমর্থন করেছিল। তিনি তাঁর সূচনা বক্তব্য দিতে শুরু করলে কেএসপি ও আওয়ামী লীগ সদস্যরা তিন দিন আগের মতোই সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এবারের সংঘর্ষ ছিল আরও ভয়াবহ। তাঁরা হাতের কাছে যা পান তা নিয়ে একে অন্যের দিকে তেড়ে যান। একপর্যায়ে একটি পেপারওয়েট অথবা কোনো কোনো বর্ণনায় চেয়ারের হাতল ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীর ওপর গিয়ে পড়ে। তিনি গুরুতর আহত হন। দুই দিন পর তিনি হাসপাতালে মারা যান। ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীকে হত্যার ঘটনার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটে, দেশ চলে যায় সামরিক শাসনের আওতায়।

ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীর ওপর হামলার জন্য শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগের কিছু সদস্যকে দায়ী করা হলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচারপতি আসীর কমিশন রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত একাধিক দলিলে হামলার আগে ও পরে শেখ মুজিবের ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। স্পিকার আবদুল হাকিম প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জার কাছে পাঠানো এক টেলিগ্রামে উল্লেখ করেন :

“Mujibur Rahman over Telephone several  times threatened me with violence of the    worst sort saying I will not be allowed to enter the Assembly. Will be bodily removed adding that no local police will be of help to me. Relation of mine was assaulted last evening. I seek your advice.” (Justice Asir Commission Report)

(মুজিবুর রহমান টেলিফোনে বেশ কয়েকবার আমাকে এই বলে মারাত্মক ধরনের সহিংসতার হুমকি দিয়েছিলেন যে আমাকে অ্যাসেম্বলিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমাকে সশরীরে অপসারণ করা হবে এবং স্থানীয় পুলিশ আমার কোনো সহায়ক হবে না। গত সন্ধ্যায় আমার এক আত্মীয়ের ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল। আমি আপনার পরামর্শ কামনা করছি)।

কেএসপির আবু হোসেন সরকার প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জার কাছে পাঠানো ফনোগ্রামে বলেন :

“Mujibur Rahman and other leaders attacked Speaker with spears, rods and microphone stands, imported armed goondas by Awami Leaguers rushed inside Assembly from outside attacked Speaker and opposition members encircling Speaker to save his life were molested and beaten, despite frantic appeal police refused help, some opposition members wrongfully confined in Awami Minister’s house, others threatened with attack anywhere any time.” (Justice Asir Commission Report)

(মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য নেতারা স্পিকারকে বর্শা, লোহার রড এবং মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ড দিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। আওয়ামী লীগাররা বাইরে থেকে সশস্ত্র গুন্ডাদের অ্যাসেম্বলির ভিতরে এনেছিল, যারা স্পিকারের ওপর আক্রমণ করে। বিরোধীদলীয় সদস্যরা স্পিকারের জীবনরক্ষার জন্য তাঁকে ঘিরে রাখলেও তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ ও তাঁকে প্রহার করা হয়। সাহায্যের জন্য পুলিশের কাছে কাতর অনুনয় করা সত্ত্বেও পুলিশ সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। কিছু বিরোধীদলীয় সদস্যকে ভুলবশত আওয়ামী মন্ত্রীর বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল। অন্যদের ওপর যে কোনো স্থানে যে কোনো সময়ে আক্রমণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল)।

লেখক : যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’

১ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা