মেহেরপুরের তালিকাভুক্ত রাজাকার মীর রওশন আলী মনা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার দুপুরে মেহেরপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে গোয়েন্দা হিসাবে কাজ করেছেন তিনি।
মীর রওশন আলী মনা বলেন, মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার বসির আহমেদ আমাকে রাজাকার হিসাবে উল্লেখ করেছেন। যা আদৌ সত্য নয়। আমি পাকিস্তানের সেনাদের যাবতীয় অবস্থান ও বাংকারের নকশা করে মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেকের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাঠিয়ে দিতাম। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহর থেকেই সিরাজুল ইসলাম পটল ভাইয়ের নেতৃত্বে বন্দুকবাহিনীতে যোগ দিই। ১৭/১৮ এপ্রিল বিকাল নাগাদ পাঞ্জাবিরা এসে যুবকদের বেনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মারতে থাকে। আমি এসময় ভারতে হৃদয়পুর বিএসএফ ক্যাম্প হয়ে কৃষ্ণনগরে চলে যাই। আগস্টের শেষের দিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে মেহেরপুরে আসি। এসময় পড়াশুনার নাম করে মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে গোয়েন্দাগিরি শুরু করি।
উল্লেখ্য, মীর রশন আলী মনা দালাল কমিটির অভিযুক্ত আসামী হিসাবে ১৯৭২ সালে ১২ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া জর্জ কোর্টে আত্মসমর্পণ করে মুক্ত হন। গত ২৫ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহম্মেদ সকল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাতিল ও সকল স্থাপনা থেকে রাজাকারদের নাম পরির্বতনের দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার ওই তালিকায় নাম ছিল তাদের মধ্যে আছেন মেহেরপুর বদর বাহিনীর সভাপতি দক্ষিণ শালিকা গ্রামের আব্দুল লতিফ মোল্লা, সেক্রেটারি হোটেলবাজারের নুরুননবী (ফ্রিডম বাবু), স্টেডিয়াম পাড়ার মীর রওশন আলী মনা, ঝাউবাড়িয়ার আলাউদ্দীন খাঁসহ অনেকে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬/ফারজানা