মাত্র ছয় সদস্য দিয়ে ঢিমেতালে চলছে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রম। প্রায় পৌনে দুই বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। নতুন নেতৃত্বে আসতে না পারায় দলীয় কার্যক্রমে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে কর্মীরা। ইতোমধ্যে অনেকের ছাত্রত্বের সময় ফুরিয়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে রাজনীতি করা না করা নিয়ে হতাশা কাজ করছে। এছাড়াও চৌহালী উপজেলা ছাত্রলীগ ১৮ বছর আগের কমিটি দিয়ে চলছে। তাড়াশ, এনায়েতপুর, কাজিপুর ও সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের কমিটিও প্রায় ৫ থেকে ৭ বছর আগে গঠন করা হয়েছিল। এ অবস্থায় অবিলম্বে জেলা ছাত্রলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মীরা।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ মে শহরের এম মুনসুর আলী অডিটোরিয়েম জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রথম পর্বশেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের কথা ছিল। কিন্তু কাউন্সিলর লিষ্ট প্রস্তুত না থাকায় গোপন ব্যালটে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। এজন্য কেন্দ্রীয় নেতারা প্রার্থীদের তালিকা নিয়ে ঢাকায় চলে যান। ওই সময় সভাপতি পদে জাকিরুল ইসলাম লিমন, শেখ খালিদ সাইফুল্লাহ সাদি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে একরামুল হক, সৌরভ তালুকদার ও মন্ডল মোহাম্মদ শামিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরে একই মাসের ২০ তারিখ রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ৬ সদস্যের একটি কমিটি এক বছরের জন্য অনুমোদন দেন। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটি পুণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ। কিন্তু প্রায় পৌনে দুই বছর অতিবাহিত হলেও ছাত্রলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। এ অবস্থায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় পদবঞ্চিত নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। নেতৃত্বে না আসতে পারবে কিনা তা নিয়ে তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। দলের কার্যক্রমের অনিহা প্রকাশ করছে। জেলা ছাত্রলীগই নয় চৌহালীতে দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত কাউন্সিল হয় না। এছাড়াও তাড়াশ, এনায়েতপুর, কাজিপুর, তাড়াশ ও সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগেরও প্রায় ৫ বছর যাবত সম্মেলন হচ্ছে না। চৌহালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফারুক সরকার এখন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এখন ঢাকায় বসবাস করছেন। এ অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতি নিয়ে কর্মীরা হতাশা হয়ে পড়েছেন।
সিরাজগঞ্জ সদর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাইয়ুম আহম্মেদ পান্নাসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগ কর্মীরা জানান, কমিটি পুর্নাঙ্গ না হওয়ায় নেতা কর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে পড়েছে। তাদের অভিযোগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সমš^য়হীনতার কারণে কমিটি গঠন হচ্ছে না।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক জানান, আগামী ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। তিনি আরও জানান, জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পরই প্রতিটি উপজেলা ও সকল ছাত্রলীগের ইউনিট ঢেলে সাজানো হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ