দিনাজপুরের খানসামা ডিগ্রী কলেজকে জাতীয়করণের দাবিতে ডাকা রবিবারের অর্ধদিবস হরতাল শেষে পুলিশের হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, শিশু ও নারীদের উপর নির্যাতন ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার আবারও অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়েছে খানসামায়। হরতালে খানসামা প্রায় অচল ছিল। সব ধরণের যানচলাচল বন্ধ ছিল। খোলেনি দোকানপাট। রাজপথে পুলিশ ছাড়া সাধারণ মানুষ দেখা যায়নি।
সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল পালন করে এলাকাবাসী। এর আগে রবিবার রাতে এই অর্ধদিবস হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে খানসামা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ।
হরতাল চলাকালে কোথাও কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পুলিশের তৎপরতার কারণে রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি পিকেটার।
খানসামা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান রিয়াদ জানান, খানসামা ডিগ্রী কলেজকে জাতীয়করণের দাবিতে রবিবার অর্ধদিবস হরতাল আহ্বান করে খানসামা ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করন বাস্তবায়ন কমিটি। শান্তিপূর্ণ হরতাল শেষে বিনা উস্কানিতে পুলিশ স্থানীয় জনতার উপর রাবার বুলেট, টিয়ার সেল নিক্ষেপসহ হামলা চালায়। এরপর পুলিশ দলবদ্ধ হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এ সময় পুলিশ শিশু ও নারীদের উপর নির্যাতন ও গণগ্রেফতার করে।
তিনি অবিলম্বে আটক রাকেশ গুহ, রফিকুল ইসলাম, আব্দুর লতিফ, সালজার রহমান, আতাউর রহমান, ইমরান ইসলাম, শফিক আহমেদ পরাগ, বিপ্লব চৌধুরীসহ সকল সংগ্রামী নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
খানসামা থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন প্রধান জানান, এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৪০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫-৬শ' জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ