ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার কৃষ্টপুর ইক্ষু খামার ময়দানে ফজরের নামাজের পর মাওলানা আব্দুল হামিদ মাসুমে’র বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।
ইজতেমা উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের হাজার হাজার মুসল্লিরা ছাড়াও ইজতেমা ময়দানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা অংশ নিয়েছে।
৩ দিনের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ময়দানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পুলিশের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি রয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাম্পও। আগত মুসল্লি ও জেলা ইজতেমা আয়োজকরা জানান দেশ ও জাতির শান্তি কামনাই ইজতেশা থেকে আল্লাহর নিকট চাওয়া।
এ জামাতের মুসল্লি আবুল হোসেন জানান, বাদ ফজর থেকে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আগত মুসল্লিরা তাবলীগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শুনছেন।
বিশ্ব ইজতেমার মুরব্বি শহিদুল হক জানান, বিশ্ব ইজতেমায় ক্রমাগত মুসল্লি বাড়তে থাকায় টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। এ জন্য গেল বিশ্ব ইজতেমা থেকেই দুই ধাপে ৩২ জেলার মুসল্লিদের নিয়ে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। মুরব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাকি ৩২ জেলার মুসল্লিরা (যে সব জেলার মুসল্লিরা গত বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেননি) নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত ইজতেমায় অংশ নেবেন। সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার ইজতেমা শুরু হয়েছে।
ইজতেমা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাথীরা পর্যায়ক্রমে ইজতেমা মাঠের কাজ সম্পন্ন করেছেন। ইজতেমা মাঠে বিদ্যুৎ, পানি, স্যানিটেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিক্যাল টিম, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে। ইজতেমা মাঠে সার্বক্ষণিক একটি মেডিক্যাল টিম দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. খায়রুল কবির।
আর পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বরত কর্মকর্তার জানান ইজতেমা সফল করতে সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে রংপুর বিভাগীয় পুলিশ। আগামী শনিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ ইজতেমা।
ঠাকুরগাওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ জানান, ইজতেমায় আশা মুসল্লিদের নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বদা সজাগ রয়েছে প্রশাসন। ওয়াচ টাওয়ার বসিয়ে ইজতেমা ময়দানে দৃষ্টি রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। সাদা পোশাকধারিসহ সকল পয়েন্টে পুলিশ মোতায়ন করা আছে।