কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পাঁচদিন পরে পাটখেত থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ এক যুবককে আটক করেছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার মারিয়া এলাকার একটি পাটখেত থেকে রৌজা মনি (৬) নামের শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রৌজা মনি সদর উপজেলার মারিয়া এলাকার মোহাম্মদ সুমনের মেয়ে।
নিহত রৌজা মনির মামাতো বোন তুলি আক্তার জানান, রবিবার বিকেলে বাড়ির সামনে খেলা করছিল রৌজা। হঠাৎ করে খোঁজ মিলছিল না তার। পরে খোঁজাখুঁজি করেও আর পাওয়া যায়নি। এদিন রাতেই রৌজার মামা দেওয়ান আলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। আজ শুক্রবার সকালে একজন এসে জানায়, পাটখেতে একটি মরদেহ পড়ে আছে। পরে সেখানে গিয়ে রৌজা মনির মরদেহ শনাক্ত করেন তারা।
প্রতিবেশী সাকিব হাসান জানান, রৌজার শরীরের কাপড়গুলো খানিকটা দূরে পড়ে ছিল। পাঁচদিন হয়ে যাওয়ায় মরদেহ থেকে অনেকটা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
রৌজামনির দাদী গুলনাহার বেগম বলেন, রৌজামনির বাবা ও মা দুজনই গাউছিয়াতে গার্মেন্টস করেন। এই সুবাদে তার কাছেই থাকতো রৌজা। গত রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে মসলা ভাঙাতে দোকানে যান তিনি। বাজার থেকে ফিরে এসে রৌজাকে আর খুঁজে পাননি। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
রৌজামনির বাবা মোহাম্মদ সুমন জানান, এ ঘটনায় পুলিশ যাকে আটক করেছে তার নাম রাসেল মিয়া। রাসেল গতকালও বলেছে সে নাকি স্বপ্নে দেখেছে আমার মেয়েকে কে বা কারা খুন করে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখেছে। এরপরেই তার প্রতি সন্দেহ বেড়েছে তাদের। সুমন আরও বলেন, আটক রাসেল আমার বন্ধু ছিল। আমার মেয়েটা তাকে খুব সম্মান করতো, কিন্তু সে যে এমন করবে আমি কল্পনাও করতে পারছি না।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে আইনাণুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ