প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার বগুড়ায় আসছেন। সফরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও কাজের উদ্বোধন করবেন তিনি। এরপর নির্ধারিত জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের তালিকায় রয়েছে বগুড়ার শাজাহানপুর থানা ভবনের নাম। প্রায় ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক বহুতল এ থানা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ১৫ বছর আগে শাজাহানপুর উপজেলা গঠনের পর একটি ভাড়া বাসায় চলছে পুলিশের কার্যক্রম। উদ্বোধনের পর ভাড়া বাসা ছেড়ে নবনির্মিত নিজস্ব ভবনে যাবে থানা। সেই ভবন থেকে চলবে পুলিশের পরবর্তী কার্যক্রম। ইতি ঘটবে টানা পনের বছরের দুর্ভোগের।
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক পশ্চিমপাশে সেই ভাড়া বাসার অবস্থান। ঠিক কিছুটা উত্তরে এক একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল নতুন এ থানা ভবন। পুরনো ভাড়া ও নতুন ভবনের প্রায় মাঝখানে অবস্থান অত্যাধুনিক উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন। জানা যায়, উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা নতুন থানা ভবনের শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত শ্রমিমকরা। কেউ ইটের খোয়ায় পানি মারছেন। কেউ রড কেটে সেগুলো থানা চত্বরে বিছিয়ে দিচ্ছেন। কেউবা ইট-বালু বিছানোর কাজে মগ্ন। এভাবে থানা চত্বর এলাকায় ঢালাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারের নিযুক্ত শ্রমিকরা।
২০০২ সালে বগুড়া সদর উপজেলার দক্ষিণের ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় শাজাহানপুর উপজেলা। একই বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় শাজাহানপুর থানা। উপজেলা পরিষদের দক্ষিণপাশ ঘেঁষে একটি ভাড়া বাসায় শুরু হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম। কিন্তু নিজস্ব ভবন না থাকায় নানামুখি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। অস্ত্রাগার নিয়ে ভয়ের শেষ নেই। স্থান সংকটে চেয়ার-টেবিল রাখা যায় না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখার পরিবেশ নেই। পুরুষ সদস্যদের ছোট ব্যারাকে থাকতে হয় ঠাসাঠাসি করে। নারী সদস্যরা থাকেন আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে।
মেসার্স মাসুমা নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বহুতল এ থানা ভবন নির্মাণের কাজ করছে। ভবনে থাকছে পুলিশ অফিস, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), অন্যান্য কর্মকর্তা, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও বেতার কক্ষ। নারী-পুরুষ সদস্যদের জন্য থাকছে আলাদা ব্যারাক। থাকছে চারটি হাজতখানা। এখানে নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী হাজতিরা থাকবেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার