কক্সবাজারের ইক্ষ্যংছড়ির আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ইসমাইলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং নিজ দলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার।
মঙ্গলবার কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বড় মেয়ে উম্মে আইমান তান্নি লিখিত বক্তব্যে তার বাবার হত্যাকারিদের বিচার দাবি করেন।
গত ৩০ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের হোটেল পালংকির কক্ষ থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা. মো. ইসমাইলের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় আত্মহত্যাসহ নানা বিষয় ব্যাখা দিয়ে খবর প্রকাশিত হয়।
এরপরই মঙ্গলবার নিহতের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, ডা. ইসমাইল আসন্ন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন। এজন্য রাজনৈতিক সহকর্মীদের নিয়ে কাজ করতে তিনি ২৭ মে করতে ঘর থেকে বের হয়ে যান। ৩০ এপ্রিল তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ডা. ইসমাইলের লাশ হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে, কিন্তু তিনি হোটেলে কিভাবে কাদের সাথে ঢুকেছেন বা কারা তাকে হোটেলের রুমে নিয়ে গেছেন তাদের কোন ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করতে হয়নি, ভিতরে লক ছিল না, রুমের ভিতর চাবি পাওয়া যায়নি, তার ডান হাতের আঙ্গুল ভাঙা পাওয়া গেছে, তার গলায় তারটি পুরোপুরি লাগানো ছিল না, পা ছিলো বেডে লাগানো। এসব আলামত এবং সন্দেহ থেকে বুঝা যায় ডা. ইসমাইল আত্মহত্যা করেননি তাকে পরিকল্পিকভাবে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে নিহত ডা. ইসমাইলের স্ত্রী জোসনা আক্তার বলেন, ‘তিনি মৃত্যুর আগেই শঙ্কা করেছিলেন যে কোন মুহূর্তে তার মৃত্যু হতে পারে। তাই তিনি মাস দুয়েক ধরে বার বার বলতেন, “ কোথায় আমার লাশ পাওয়া গেলে দাফন কাজ ঠিকমত করিও।” এতে বুুঝা যায় তিনি কোন শত্রুদের হুমকির মুখে ছিলেন। তবে শত্রু কে বা কারা ছিলেন তা বলে যাননি। কিন্তু মৃত্যুর আগে তার ফেসবুক স্ট্যাটাস অনুসন্ধান করলে বিষয়টি অনেকটা তথ্য পাওয়া যাবে, কারা জড়িত রয়েছে।’
নিহতের ছোট মেয়ে কলেজ পড়ুয়া আফিফা আইমান বলেন, ‘আমার বাবা কোন সংকীর্ণ মনমানসিকতার মানুষ ছিলেন না। তিনি অত্যন্ত সৎ ও নীতিবান লোক ছিলেন। তিনি শিক্ষিত সচেতন মানুষ। তাই তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার বাবার হত্যাকারিদের দ্রুত বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
বিডি-প্রতিদিন/০২ মে, ২০১৭/মাহবুব