শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নড়িয়া বাজার সংলগ্ন কীর্তিনাশা নদীর উপর নিয়ন্ত্রণ হারানো মালবাহী ট্রলির চাপায় সানজিদা নামে এক ছাত্রী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলা সেতুর বেইলী অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির ছাত্রী ইয়াছমিনের শরীর থেকে বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং দু 'পা ভেঙে গেছে। আহত ছাত্রটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। এ ঘটনার ঘাতক ট্রলি চালক সাকিবুল হাসানকে আটক করে স্থানীয়রা নড়িয়া থানা পুলিশে সোর্পদ করেছেন।
এদিকে স্থানীয় মানুষ ও আহত ছাত্রীর স্বজনরা মিলে সেতুর বেইলী অংশের পাটাতন খুলে নদীতে ফেলে দেওয়ায় সেতু দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এসময় তারা দিনের বেলা নসিমন ও ট্রলি চলাচল বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন।
স্থানীয়দের দাবি, সেতুর পূর্বপাশের অ্যাপ্রোজ সড়কের মাটি ধসে গেলে অ্যাপ্রোজ সড়কের পুনঃনির্মাণ না করে স্থানীয় এলজিইডি বিভাগ সেতু ও সড়কের প্রায় ৩০ মিটার অংশ জুড়ে বেইলী সেতু স্থাপন করে। এতে সড়কের উচ্চতা বেড়ে যান চলাচল আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। এর আগে এ কারণে আরো একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাতে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা।
বিডি-প্রতিদিন/০২ মে, ২০১৭/মাহবুব