বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জনি জমাদ্দার (৩৫) গত ২৩ দিন ধরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার সঠিক কারণও জানতে পারছেন না তার পরিবার কিংবা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনায় জনির স্ত্রী লাবনী বেগম গত রবিবার বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
কোতয়ালী থানার ওসি শাহ্ আওলাদ হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জিডির সূত্র ধরে জনি জমাদ্দারের সন্ধান করছে পুলিশ।
জনি জমাদ্দার নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বালুর মাঠ কলোনীর সাহেব আলী হাওলাদারের ছেলে। ওই কলোনীর অদুরে কোষ্টাল বরফ কল কলোনীতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাস করতেন জনি। তিনি ২ মেয়ে ১ ছেলের জনক। জনি বাসার সামনে একটি ফাষ্টফুডের দোকান পরিচালনা করতেন।
তার স্ত্রী লাবনী বেগম জানান, গত ৯ এপ্রিল সকাল ১১টায় পিতা-মাতার বাসায় যাওয়ার কথা বলে জনি নিজের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। আত্মিয়-স্বজন সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান মেলেনি।
লাবনী বেগম বলেন, রাজনীতি করার কারণে জনির সঙ্গে অনেকের শত্রুতা থাকতে পারে। তবে জনি সুনির্দিষ্টভাবে কখনও কারো নাম বলেননি। তাই জনি নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি (স্ত্রী) সু-নির্দিষ্টভাবে কাউকে সন্দেহ করছেন না।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জনি জমাদ্দার নিখোঁজ হওয়ার খবর তারা অনেক পরে জানতে পেরেছেন। খবর পেয়ে গত শনিবার তারা জনির বাসায় যান। নিখোঁজের কারণ সম্পর্কে জনির স্ত্রী তাদেরকে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।
বিডি প্রতিদিন/২ মে ২০১৭/হিমেল-২০