নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে পোরশা যাওয়ার আঞ্চলিক একটি সড়কে উন্নয়ন (মেরামতের) কাজে ইটের খোয়া-বালুর মিশ্রনের পরিবর্তে মাটি দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়ক বিভাগের নিয়োগকৃত লোকজন সড়কের পাশের জমি ও গাছের গোড়া থেকে মাটি সংগ্রহ করে তারা পিচঢালা রাস্তায় ব্যবহার করে দ্রুত কাজ শেষ করছেন। এতে করে ওই সড়কের স্থায়িত্ব ও মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে ওই প্রকল্পের সার্বিক তথ্য নিতে গেলে নওগাঁর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরনকরেন।
নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে পোরশা যাওয়ার আঞ্চলিক একটি সড়কে উন্নয়ন (মেরামতের) কাজে ইটের খোয়া-বালুর মিশ্রণের পরিবর্তে মাটি দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়ক বিভাগের নিয়োগকৃত লোকজন সড়কের পাশের জমি ও গাছের গোড়া থেকে মাটি সংগ্রহ করে তাঁরা পিচঢালা রাস্তায় ব্যবহার করে দ্রুত কাজ শেষ করছেন। এতে করে ওই সড়কের স্থায়িত্ব ও মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে ওই প্রকল্পের সার্বিক তথ্য নিতে গেলে নওগাঁর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন।
জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে গত এপ্রিল মাসে নওগাঁর নিয়ামতপুরের আঞ্চলিক সড়কটির প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় মেরামতের কাজ শুরু করা হয়। শুরু থেকেই সড়ক ও জনপথের নিয়োগকৃত লোকজন ওই সড়কে নিম্নমানের কাজ করছে বলে অভিযোগ ওঠে।
বিষয়টি দেখার জন্য মঙ্গলবার সরেজমিন ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের সৃষ্ট গর্তে ইট-বালুর পরিবর্তে এঁটেল মাটি দিয়ে ভরাট করছে। সড়ক বিভাগের একজন তদারকি কর্মকর্তা উপস্থিতিতেই সড়কের এই সংস্কার কাজ চলছে। ওই কর্মকর্তার সামনেই কর্মীরা সড়কের পাশের কাটা গাছের গোড়া থেকে এঁটেল মাটি সংগ্রহ করে খোয়ার সাথে মিশ্রণ করছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ও আকরাম হোসেন বলেন, যেভাবে কাজ করা হচ্ছে তাতে এক থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যেই শেষ হবে। অবশিষ্ট টাকা ওই কর্মকর্তা হাতিয়ে নিবেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ সময় মাটি ব্যবহারের বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে সড়ক বিভাগের একজন তদারকি কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) মাটি ব্যবহারের কথা স্বীকার করে বলেন, সড়কের ময়েশ্চার ঠিক রাখতে মাটি ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। তবে সকল প্রকার তথ্য প্রদানে ঊধ্বতন কর্তপক্ষের নিষেধ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে এ বিষেয়ে ওই সড়কের সংস্কার কাজের বরাদ্দ ও মান নিয়ে নওগাঁর সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বরত নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হকের অফিসে গেলে তিনি এ বিষয়ে কোন তথ্য না দিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ মে, ২০১৭/হিমেল/মাহবুব