পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী লামিয়া নূরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ হত্যাকাণ্ডের শাস্তি দাবি করে বুধবার সকালে শহরের টাউন ক্লাব রোডে মানববন্ধন করেছে লামিয়ার সহপাটি, স্বজন ও স্থানীয়রা।
জানা যায়, এক বছর পূর্বে পিরোজপুর শহরের সিআই পাড়া এলাকার মৎস ব্যবসায়ী আব্দুল কালাম শেখের মেয়ে লামিয়ার নূরের সাথে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সন্ন্যাসগাছা গ্রামের মৃত হামিদ সর্দারের ছেলে পুলিশ সদস্য হানজালা হাসান এর সাথে বিয়ে হয়। হানজালা হাসান বর্তমানে ঝিনাইদাহ পুলিশ লাইনে কর্মরত আছে।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, বিয়ের কয়েক মাস পর হানজালা তার শ্বশুর বাড়ির লোকদের কাছে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল দাবি করে। লামিয়ার পরিবার হানজালাকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটর সাইকেল দিতে চাইলে তা নিতে রাজি হয়নি সে। এরপর সে বিভিন্ন সময় লামিয়ার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায় গত ২৭ মে শনিবার দুপুরে ঝিনাইদাহ শহরের একটি ভাড়া বাসায় লামিয়াকে নির্যাতনে হত্যার পর ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায় স্বামী হানজালা। পুলিশ সদস্য হওয়ায় সুবাদে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয় হানজালা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পিরোজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিউল হক মিঠু, পৌর কাউন্সিলর সাদ্উল্লাহ লিটন, আব্দুস সালাম বাতেন, ও মহিলা পরিষদের নেত্রী নারী শিরিনা আফরোজ।
বিডি প্রতিদিন/৩১ মে ২০১৭/হিমেল