নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২য় তলায় কর্তব্যরত সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা খাতুনের অফিস কক্ষে জানালার কাঁচ ভেঙ্গে একটি বুলেট ঢুকে যায়। তখন কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা খাতুন আতঙ্কে কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা - কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর শুনে জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম তালুকদার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান কর্মরত অবস্থায় নিজেদের কক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা খাতুনের কক্ষে ছুটে আসে এবং মেঝেতে একটি গুলির খোসা দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো: ইলিয়াছ শরীফ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একে এম জহিরুল ইসলাম পাশ্ববর্তী ভবন থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পরে সুধারাম ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমানসহ পুলিশ ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন।
জেলা প্রশাসক জানান, অতি নিকটবর্তী পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ফায়ারিং বার্ড (চানমারি) থেকে এ গুলি আসতে পারে। তবে বিষয়টি পুলিশ কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে।
পুলিশ সুপার মো: ইলিয়াছ শরীফ জানান, পুলিশের প্রশিক্ষণ চলাকালিন সময় ফায়ারিং বাড থেকে অসাবধানতা বশত গুলিটি এসেছে। তখন লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। এধরণের ঘটনা যেন না ঘটে সে লক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না হওয়া পর্যন্ত ফায়ারিং বার্ড বন্ধ থাকবে। আজকের ঘটনায় কারো কোন গাফলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার পুলিশ প্রশিক্ষণ নেয়।
পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডিআইজি মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এটির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।