সম্প্রতি লামা উপজেলায় আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। এ সময় লামা পৌরসভার ৪৫০টি পরিবার সম্পূর্ণ বিধস্ত, ১ হাজার ৫৫০টি পরিবার আংশিক ক্ষতির শিকার হয়েছিল। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ৪দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারি বেসরকারি কোনো সহায়তা পায়নি ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন। ফলে খাদ্য অভাব ও পানীয় জলে কষ্ট পাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পক্ষ হয়ে লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে করা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, লামা পৌর এলাকায় সম্পূর্ণ ও আংশিক মিলে ২ হাজার পরিবারের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ক্ষতির শিকার হয়নি এমন কোনো পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না। সব মিলিয়ে শুধু লামা পৌরসভায় ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।
সরজমিনের ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের ৪দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অনেক গৃহহীন মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। সিয়াম সাধনার মাস ও বর্ষাকাল হওয়ায় মানুষের কষ্টের মাত্রা বেড়ে হয়েছে কয়েক গুণ। তাছাড়া দুর্যোগের পর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় ভাপসা গরমে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
লামা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, বিদ্যুৎ ছাড়া হাসপাতাল পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। রোগীদের কষ্টের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। বিশেষ করে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুরা গ্যাস দিতে না পেরে প্রচুর কষ্ট পাচ্ছে। অপরদিকে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ দিতে পারবে তার কোন সুনিদিষ্ট সময় বলতে পারেনি লামা আবাসিক প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেন, এখনো আমাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে দ্রুত সরকারি সাহায্য পৌঁছানো হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার