মুসলিম জাহানে পবিত্র হজ ব্রত পালনের পরে যে ইসলামী জলসার প্রধান্য দেওয়া হয় তা বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমা। এই ইজতেমা টঙ্গির তুরাগ নদী পাড়ে প্রতি বছর সারা বিশ্বের আলেম উলামাগনের সমাবেশের মাধ্যমে পালিত হয়। এ বছরই প্রথম বিভিন্ন জেলায় সেই ইজতেমা পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তারই ধারাবাহিকতায় আগামি ৭,৮ ও ৯ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এখানে প্রায় লাখো মানুষের উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ দুপুরে জেলার মিরকাদিম এলাকার ইজতেমা ময়দানের আগাম পরিস্থিতি তদারকী করতে মাঠে নামেন স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন কালে প্রধান পরিদর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ -৩ আসনের এমপি এ্যাড, মৃণাল কান্তি দাস। পরিদর্শন শেষে মীরকাদিম পৌরভবনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জেলা প্রশাসন,সাংবাদিক ও সুধিজনের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম,মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র মো: শহিদুল ইসলাম শাহিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. শওকত আলম মজুমদার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো, মোস্তাফিজুর রহমান,বিশিষ্ট আলেম ডা, সিরাজুল হক চৌধুরী, ডিআই-১ মো: নজরুল ইসলাম, সদর থানার ওসি মো আলমগীর হোসাইন,ওসি ডিবি মো ইউনুচ আলী,সদর ফাড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম,ওসি ট্রাফিক,ছিদ্দিকুর রহমান,টিআই সাখাওয়াত হোসেন, টিঅই মো: কামরুল ইসলামসহ উপস্থিত ছিলেন আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ,স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ ও এলাকাবাসী। সভায় ইজতেমায় প্রায় এক লক্ষ দেশী-বিদেশী মুসল্লিগনের সমাবেশকে সামনে রেখে ইজতেমা এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থার কথা ঘোষনা করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, নৌপথ ও স্থল পথ তিন স্থরের নিরাপত্তা রাখা হবে। যানজট নিরসনে এবং মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ,আনসার,ফায়ার সার্ভিস,মেডিকেল টিম সোচ্চার থাকবে। মোট কথা ইজতেমা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। বিদেশী মেহমানদের থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ওযু খানা,পানি,ওয়াসরুমসহ মুসল্লীদের সকল প্রকার সুবিধা নিশ্চিত করারও ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএমকে শুভেচ্ছাস্বারক উপহার দেন মীরকাদিম পৌরসভার মেয়র মো: শহিদুল ইসলাম শাহীন। ইজতেমাকে সফল করার লক্ষে এরও আগে সভাস্থলে স্থানীয় সাংসদ মৃণালকান্তি দাস আগামি ৬,৭,৮ ও ৯ ডিসেম্বর মীরকাদিম এলাকায় অবস্থানের ঘোষণা দেন এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএমও সার্বক্ষণিক তদারকীর উদ্দেশ্যে ইজতেমার তিন দিন মীরকাদিমে অবস্থানের ঘোষণা দেন। মীরকাদিম পৌর মেয়র মো. শহিদুল ইসলাম জেলায় প্রথম এই ইজতেমাকে সাফল্যমন্ডিত করতে উপস্থিত সকলের প্রতি অনুরোধ জানান এবং ইজতেমা চলাকালে ওই এলাকার সকলের বিষেশ সহযোগিতা কামনা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার