সাভারে ধর্ষণের অভিযোগে নাজমুল মিয়া নামের (২২) এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে সাভারের থানা বাসষ্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের স্বীকার ওই তরুণী ও আটক ধর্ষণকারী যুবক নাজমুল সাভারের থানা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড সাভার শাখায় ডক্টরেস সহকারী হিসেবে দীর্ঘ দুই বছর ধরে কর্মরত রয়েছে দুই জন। পরে নাজমুল নামের ওই যুবকের সাথে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুযোগে বিয়ের প্রভোলন দেখিয়ে ওই যুবক তরুণীকে একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই তরুণী ওই যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ওই যুবক বিয়ে করতে না চাওয়ায় ওই তরুণী সাভার মডেল থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ দিলে রাতেই থানা বাসষ্ট্যান্ড থেকে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে, ধর্ষণের বিষয়টি একাধিকবার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড সাভার শাখার ম্যানেজার জহুরুল ইসলামকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে হয়রানি করে ওই যুবকের পক্ষ নিয়ে তাকে অকর্থ ভাষায় গালিগালাজ করেন। এঘটনায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড কতৃপক্ষ ওই যুবক ও তরুণীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিনুল কাদির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই ঘটনার সাভার মডেল থানার একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয় । ধর্ষণের স্বীকার ওই তরুণী মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার শেওড়া গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার