নোয়াখালীর হাতিয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে আজাদ নামে এক যুবককে গণধোলায় দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনগণ। পরে রাতে রহস্যজনকভাবে ওই যুবককে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান শিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কেউ বাদী হয়ে অভিযোগ না দেওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার তমরুদ্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নুরুল হুদার বাড়িতে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী আরিফ, জাফর উল্লাহ, কামাল, আজগর, জমিদারসহ অনেকে জানায়, এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গুল আজাদ বিভিন্ন সময় ফোনে দিয়ে প্রেমের প্রস্তাবসহ অনৈতিক সর্ম্পক স্থাপনের জন্য টাকা পয়সার লোভ দেখাত। একসময় আজাদ জেসমিনদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতে শুরু করে। তার আসা যাওয়া দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। ঘটনার দিন প্রবাসীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আজাদ তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয় জনতা টের পেয়ে ভিতরে ঢুকে আজাদকে ধরে মারধর করে বেধে রাখে।
এদিকে, ভিকটিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আজাদ আমাকে বোন ডেকেছে। এ সম্পর্কে সে আমাদের বাড়িতে প্রায়শ আসতো। আজকে সে আমাদের বাড়িতে এসে কথাবার্তার এক পর্যায়ে আমাকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। আমি তাকে ভাইয়ের মতো দেখি বলে বার বার বললেও সে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।
অভিযুক্ত আজাদ ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তারা আমার আত্মীয় হয়, সে কারণে আমি তাদের বাড়িতে প্রায় আসা যাওয়া করি। এছাড়া আর কিছু নয়।
এ ব্যাপারে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান শিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কেউ বাদী হয়ে অভিযোগ না দেওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১০ ডিসেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম