হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা হৈবতপুর গ্রামে প্রাইমারী স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। রক্তাত অবস্থায় মেয়েটিকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু ধর্ষকের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেননি মেয়েটির পরিবার।
সূত্র জানায়, হৈবতপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষকের কন্যা স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্রী শনিবার বিকেলে বাড়ির পাশের হাওর ধানের খড় আনতে যায়। এ সময় মেয়েটিকে একা পেয়ে এক লম্পট জোরপূর্বক ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে সেখানে মেয়েটি ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মেয়েটি রক্তাত অবস্থায় সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে এ ঘটনা তার মা-বাবাকে জানায়।
শনিবার রাতে মেয়েটিকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে আশংকাজনক অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে রেফার করেন।
মেয়েটির মা জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে বাজারে গিয়েছিলাম। আর আমার মেয়ে লাকড়ী (ধানের খড়) আনতে হাওরে গিয়েছিল। হাওরে একা পেয়ে লম্পট আমার মেয়েটির ক্ষতি করেছে।
রবিবার সকালে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনিং রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসকে ঘোষের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড মেয়েটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ডা. এসকে ঘোষ জানান, মেয়েটির প্রচুর রক্ত করণ হচ্ছে। আমরা আন্তরিকভাবে মেয়েটির চিকিৎসা প্রদান করছি।
নবীগঞ্জ থানার ওসি এসএম আতাউর রহমান জানান, এ ব্যাপারে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/২৮ জানুয়ারি ২০১৮/হিমেল
