বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে মোখলেস প্রধান (২৮) নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছে। ডান হাটুতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ দাবি করেছে, রবিবার গভীর রাতে শহরতলির ছিলিমপুর মালগ্রাম গোরস্থানের পাশে ডাকাতির প্রস্তুতিতে বাধা পেয়ে ডাকাতরা ককটেল হামলা করলে দুই কনস্টেবল আহত হয়। আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে ‘ডাকাত’ মোখলেস আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, দুটি হাসুয়া ও একটি বড় চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, রবিবার রাত আড়াইটার দিকে বগুড়া শহরতলীর ছিলিমপুর মালগ্রাম নতুনরাস্তার গোরস্থানের পাশে ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল ডাকাত সমবেত হয়।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের জরুরি ও টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশ দলকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে। ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে কনস্টেবল আনসার আলী ও সিরাজুল ইসলাম আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ শর্টগান দিয়ে ৫ রাউন্ড গুলি চালালে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে হাটুতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পানিয়া গ্রামের আবুল প্রধানের ছেলে ডাকাত মোখলেস প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, দুটি হাসুয়া ও একটি বড় চাপাতি পাওয়া গেছে। পরে ডাকাত মোখলেসকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া ‘আহত’ দুই কনস্টেবলকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, মোখলেস বগুড়ার নিশিন্দারা এলাকায় বসবাস করে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। সে গত ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরতলির তিনমাথা এলাকায় ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল।
বিডিপ্রতিদিন/ ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান