টেকনাফের বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। হঠাৎ করে সাগরে ইলিশ মাছের খবরে দলে দলে ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা ছুটে যেতে দেখা যায়। তবে প্রতি পিস ইলিশ শত টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মৎস্য ব্যবসায়ীদের ধারণা মতে, একদিনে ৩ লাখ পিস ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। তবে ইলিশ মাছের সাইজ একটু ছোট তাই দামও কম। যদি বড় আকারের ইলিশ হত তাহলে দাম অনেক বেশি পাওয়া যেত। টেকনাফে অনেক দিন পর ইলিশ মাছের ঝাঁক পাওয়া গেছে। তবে অনেক বছর আগে এই রকম দুই বার ইলিশ মাছের দেখা মিল ছিল বলে জানা গেছে। জানা যায়, আজ ৫ জানুয়ারি সোমবার ভোর সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে বাহারছড়া শামলাপুর সাগর উপকূলের বিভিন্ন নৌ ঘাট থেকে ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে জেলেরা বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায়। সাগরে জাল ফেলার ঘণ্টা খানিক পর জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছের দেখা মিলে। জেলেরা জালসমূহ নৌকায় তুলে মাছ নিয়ে কূলে ফিরে আসতে থাকে। তবে সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরার খবরে বিভিন্ন ঘাটের ক’লে থাকা নৌকা গুলো তড়িগড়ি করে সাগরে মাছ শিকারে ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকায় নেমে পড়ছে। সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া নৌকা গুলো কম বেশি সবাই ইলিশ মাছ শিকার করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতি নৌকাতে কমপক্ষে লক্ষাধীক টাকার মাছ ধরা পড়েছে বলে জানায় নৌকার মালিকরা।
পর্যটন মোড়ের নৌ ঘাটের জেলে করিম উল্লাহ জানান, সাগরে মাছ শিকারে গেলে সকালের দিকে জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাগর থেকে মাছসহ জাল তুলে নৌকা নিয়ে এসে মাছ ক’লে আনা হয়। তবে মাছের সাইজটা একটু ছোট, বড় হলে অনেক টাকা পাওয়া যেত। আমাদের নৌকায় দুই হাজারের অধিক ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। আল্লাহ যা দিছে তা শুকরিয়া বলে জানায়।
এদিকে একদিনে টেকনাফে ৩ লাখের অধিক ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে বলে জানায় মৎস্য ব্যবসায়ী এ কে ফিশিং এর মালিক মো. একলাছ। তিনি জানান, আমি সাগরের বিভিন্ন ঘাট থেকে প্রায় দুই লাখ পিস মাছ ক্রয় করেছি। এবারের ইলিশ মাছের সাইজ একটু ছোট হওয়ায় প্রতি পিস মাছ একশত টাকা করে ক্রয় করা হয়েছে। তবে সাগরে এই ছোট সাইজের ইলিশ মাছ বেশি ধরা পড়ায় একটু চিন্তা রয়েছে। ক্রয়কৃত ইলিশ মাছ ঢাকায় চালান করা হয়েছে। ভাগ্যে কী ঘটে তা আল্লাহ জানে। তবে সাইজা একটু বড় হলে চিন্তামুক্ত থাকতে পারতাম।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার