খুব শীঘ্রই রাঙামাটিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির নবাগত জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।
শনিবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নবাগত জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বর্ষা মৌশুমে পাহাড় ধসে রাঙামাটির ওপর বিরাট দুর্যোগ বয়ে গেছে। এ ক্ষতি পূরণ করা যাবে না। যদি আমরা সকল জাতিগোষ্ঠী ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি তবে এ ধরণের ক্ষতি থেকে রাঙামাটিবাসীকে রক্ষা করা সম্ভব। তাই আসন্ন বর্ষা মৌসূমকে সামনে রেখে এখন থেকে কাজে লেগে যেতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন দলগঠন করা। যত দ্রুত সম্ভব রাঙামাটির সচেতন নাগরিকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলার বিশেষ দল গঠন করা হবে।
এসময় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম, রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মো. নুরুল আমিন, রাঙামাটি জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক মো. দিদারুল আলম, রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনি আক্তার প্রমুখ।
নবাগত রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ আরও বলেন, প্রতিবছর দেশের বিভিন্নস্থানে দুর্যোগের ঘটনা ঘটে। কিন্তু রাঙামাটি জেলার দুর্যোগের ভিন্ন চিত্র। পাহাড়ি এ অঞ্চলের মানুষ দুর্যোগের মধ্যে বসবাস করে। বিশেষ করে পাহাড় ধস, আগুন ও পানি দুর্যোগের অন্যতম কারণ।
তিনি বলেন, দুর্যোগে রাঙামাটিকে বিরাট কোন ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে হলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সেজন্য সম্ভাব্য দুর্যোগ কবলিত জায়গা ও এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। এরপর পরিকল্পীতভাবে কাজ শুরু করতে হবে। বিশেষে করে পাহাড় কাটা, হ্রদের উপর অপরিকল্পীত বসতি স্থাপন করা, অবৈধস্থাপনা নির্মাণ করা একে বারে বন্ধ করে দিতে হবে। এসব বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে আসন্ন বর্ষা মৌশুমে পাহাড় ধসে ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে। তিনি সচেতন নাগরিকদের নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলা করারমত রাঙামাটিতে সভা সমাবেশ ও সেমিনার করার পরার্মশ দেন।
এর আগে ‘জানবে বিশ্ব জানবে দেশ, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বর থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর