বরিশালের চরমোনাই লঞ্চঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে মাহফিলগামী মুসুল্লীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৭ টি মৃত দেহ উদ্ধার হলো। উদ্ধারকৃত মৃতদেহগুলোর মধ্যে একটি শিশু রয়েছে।ট্রলার ডুবিতে নিহতরা চরমোনাই মাহফিলে যাচ্ছিলেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নদীতে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে মুসুল্লীরা পুলিশ ও মাহফিল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। পরে মৃতদেহটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মৃতদেহটি যশোর জেলার মনিরামপুর এলাকার মৃত হাসান মোড়লের ছেলে সোহরাব মোড়লের (৫৫) বলে নৌপুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। ট্রলার ডুবিতে নিহতরা হলেন, গাজীপুর জেলার আমানউল্লাহ দেওয়ানের ছেলে শাহ আলী (২৮), একই জেলার জাকির হোসেন দিলদার (৩০), আবদুল মালেকের ছেলে মো. ইফতেখার (৯), মুন্সিগঞ্জ জেলার বাদশা ঢালী (৬৫), ময়মনসিংহ জেলার মকবুল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), লক্কমীপুর জেলার হেদায়েত হোসেনের ছেলে আবদুল কুদ্দুস (২৪) এবং যশোর জেলার মনিরামপুর এলাকার মৃত হাসান মোড়লের ছেলে সোহরাব মোড়ল (৫৫)।
বরিশাল নৌ থানা পুলিশের ওসি বেল্লাল হোসেন জানান, গত ৭ মার্চ মাহফিলের উদ্দেশ্যে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া এলাকা থেকে মুসুল্লী যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি চরমোনাইর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। চরমোনাই লঞ্চঘাটে আগে থেকে নোঙ্গর থাকা এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের পেছনে নোঙ্গর করে আরো যাত্রী উঠানোর সময় ট্রলারটি কাঁত হয়ে যায়। এ সময় পিছনে থাকা আরেকটি ট্রলার দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে সাথে সাথে ডুবে যায় ট্রলারটি।
ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে ২০/২৫ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার পর বেশিরভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। ওই সময় কোন নিখোঁজ ছিলো কিনা তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি কোন কর্তৃপক্ষ। এরপর বরিশাল ফায়ার সার্ভিস চরমোনাই ঘাটে নোঙ্গর করা লঞ্চগুলো সরিয়ে উদ্ধার অভিযান চালালেও কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি।
ওসি বেল্লাল হোসেন জানান, গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। পুলিশ ও মাহফিল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করতে পেরেছে। লাশগুলো যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিস্টদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ওসি বেল্লাল জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর