মানসম্পন্ন পোনা সংকট, চাষি পর্যায়ে কারিগরি দক্ষতার অভাব ও হ্যাচারি ব্যবস্থাপনাসহ ৭ দফা সংকটে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে চিংড়ি শিল্প। আধা-লোনা পানির অপর্যাপ্ততা ও ঘেরে ভাইরাসের কারণে খুলনায় বাগদা চিংড়ির উৎপাদন কমেছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। একইসাথে আশংকাজনক হারে কমেছে চিংড়ি রপ্তানি।
রবিরার খুলনায় অনুষ্ঠিত ‘চিংড়ি চাষ : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি। তিনি বলেন, চিংড়ি চাষের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকার বাস্তবভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। চিংড়ির উৎপাদন বাড়াতে গবেষনা, পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতা দূর, পোনা সরবরাহ ও চাষিদের ঋণ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কর্মশালায় বলা হয়, সরকার বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ২২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে চিংড়ি সেক্টর উন্নয়নে ১৬টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চিংড়িসহ মৎস্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪২৮৮ কোটি টাকা। তবে নানামুখি সংকটের কারণে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় চিংড়ি চাষে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এখানে বাগদার উৎপাদন হয় ৭৫ হাজার ২৭৪ মেট্রিক টন। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা’ কমে হয়েছে ৬৮ হাজার ২৭২ মেট্রিক টন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোহা. সাইনার আলম। তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ে ভাইরাস শনাক্তকরণ, দুর্বল পানি সরবরাহ অবকাঠামো, চিংড়ির সঠিক মূল্য-বাজার ব্যবস্থাপনা ও রপ্তানিতে গুনগতমাণ নিশ্চিত না করায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সংকট মোকাবেলায় আধানিবিড় ও নিবিড় পদ্ধতিতে বাগদা চাষ, ভূমির জোনিং পদ্ধতি প্রবর্তন, কারিগরী জ্ঞান ও ভাইরাসমুক্ত টেস্টিং ফ্যাসিলিটিজের উন্নয়ন করতে হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন-উল আহসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডল, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরশেনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ ও মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। এতে চিংড়ি চাষি, চিংড়ি সমিতি ও চিংড়ি রপ্তানীকারক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন