লক্ষ্মীপুরে ৬ মাসের অন্তস্বত্ত্বা এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকালে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে পৌর শহীদ স্মৃতি হাইস্কুল সড়কের মনোয়ারা ম্যানশনে (৩য় তলা ভবনে) তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানান ভিকটিম ওই নারী। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে বলে জানায় পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম ওই গৃহবধূ গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, চট্রগ্রামের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন তিনি। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুরের আইয়ুব আলী পুল এলাকার জহিরের (পিকআপভ্যান চালক) সঙ্গে তার মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা বিবাহ করে চট্রগ্রামে ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করে। স্ত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা হলে জহিরুল তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। সর্বশেষ স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হলে তাকে লক্ষ্মীপুরে আসতে বলেন। চট্রগ্রাম থেকে ভোরে রওয়ানা দিয়ে তিনি লক্ষ্মীপুরের উত্তর তেমুহনীতে আসেন। এসময় স্বামীর মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে তিনি অপেক্ষা করছিলেন।
এসময় এক যুবক তাকে আশ্রয় দেওয়ার নামে শহীদ স্মৃতি হাইস্কুল সড়কের মনোয়ারা ম্যানশনে নিয়ে যায়। পরে ভবনের নিচতলার ফেরদৌসের ভাড়া বাসায় তাকে ২/৩ জন যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। শুধু নির্যাতনই নয় সঙ্গে থাকা ৫ হাজার দুইশত টাকা তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান ভিকটিম।
এক পর্যায়ে ওই নারী বের হয়ে চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে একটি বাসায় নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার বিকেলে মনোয়ারা ম্যানশনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের নিচতলার যে কক্ষের ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে- ওই দরজায় তালা ঝুলছে। তবে স্থানীয় কয়েকজন মহিলা ওই রাতে বাসাটিতে কয়েকজন পুরুষের আনাগোনা ও চিৎকারের বিষয়টি টের পেয়েছেন বলে জানান।
বাড়ির মালিক জামায়াত নেতা ও রুহল আমিন পাটওয়ারী বলেন, বাসাটি আইনজীবি সহকারী ফৌরদৌস কয়েক মাস আগে ভাড়া নিয়েছে। তার বাড়ি সদরের পার্বতীনগরের মাছিমপুর গ্রামে। ওই বাসায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন