মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, দেশের জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই নারী। শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া এ নারী সমাজের ভাগ্য উন্নয়নের কথা কেউ ভাবে না। দেশে যখনই বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার ক্ষমতায় আসে, তখনই এদেশের নারীরা রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যায়। শেখ হাসিনার সরকার মানেই নারীর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। অথচ যখন নির্বাচন আসে, তখনই বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা ভোটের জন্য নারীদের কাছে ছুটে। এরপর নির্বাচিত হলে তাদের খবর আর রাখে না।
আজ গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় শহীদ ময়েজউদ্দিন মুক্তমঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন গার্মেন্ট শিল্প কারখানায় প্রায় ৪০ লাখ নারী কাজ করে। তারা অর্থনৈতিকভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করছে। নারীর ক্ষমতায়নে ও তাদের ভাগ্য উন্নায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে তাদের প্রশিক্ষিত করছেন। আবার প্রশিক্ষিতরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ঋণও প্রদান করছেন। কাজেই নারীরা ক্ষমতায়িত হলে পরিবার, সমাজ তথা দেশ উন্নত হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের অর্ধেক নারী সমাজকে দারিদ্র রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর এ কারণেই সরকার দারিদ্র বিমোচনে নারীদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে দেশে একটি নারীও অবহেলিত থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা শারমীন বেনু, জেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার শাহানাজ আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গণি ভূইয়া, পরিমল চন্দ্র ঘোষ, জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল কাদের নান্নু, আবুবকর সিদ্দিক, ভাইস চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন স্বপন, শর্মিলী দাস মিলি প্রমুখ।
জাতীয় মহিলা সংস্থা কালীগঞ্জ শাখার সমন্বয়কারী জেসমিন বেগম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে প্রশাসনের সহযোগীতায় এবং কালীগঞ্জ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা যৌথভাবে আয়োজিত নারী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার