মাদারীপুর শহরের পাঠককান্দি এলাকার এক ভাড়া বাসা থেকে আজ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রুমা (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের চাছার গ্রামের আবু হানিফ মাতুব্বরের মেয়ে রুমার সাথে একই ইউনিয়নের খালাসিকান্দি গ্রামের হাবিবুর মাতুব্বরের ছেলে ইতালি প্রবাসী রুহুল আমীনের সাথে ৯ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে শ্রেয়া নামের ৫ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। মাদারীপুর শহরের পাঠককান্দি এলাকায় ৮ মাস ধরে মেয়েকে নিয়ে একটি বিল্ডিংয়ে ভাড়া থাকতো রুমা। গৃহবধূর স্বামী থাকে ইতালি। সকালে বিল্ডিংয়ের অন্য ফ্লাটের লোকজন ঘরের দরজা খোলা থেকে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রুমের ভিতর লাশ দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। গৃহবধূর সাথে থাকা স্বর্ণের চেইন, আংটি, কানের দুল ও আলমারী ভেঙ্গে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। রুমার পিতা খাগড়াছড়িতে আনসার ব্যাটালিয়ানে চাকরি করে।
গৃহবধূর বোন নিশিতা বলেন, আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। বোনের সাথে থাকা স্বর্ণালংকার ও আলমারী থেকে টাকা নিয়ে গেছে হত্যাকারীরা। আমরা এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. কামরুল হাসান বলেন, সকালে পাঠককান্দি এলাকার এক ভাড়া বাসা থেকে এক গৃহবর্ধূল লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে বলা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার