নীলফামারীর সৈয়দপুরে চাঞ্চল্যকর জোড়াখুনের মূল পরিকল্পনাকারীসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার মধ্যরাতে রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার বোচাগঞ্জ এলাকার কফিল উদ্দিনের দুই ছেলে শিবলি সাদিক ও মোহাম্মদ সাগর।
বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, সৈয়দপুর শহরের জসিম বাজার দোলাপাড়া মহল্লার ডা. হোসেন তৌফিক ইমামের বাসায় দিনাজপুর জেলার পাবর্তীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দিনাজপুর জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি মামুন উর রশিদ ও তার কথিত স্ত্রী ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিন তারিন সাথীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় সন্দেভাজন হিসেবে ১৩ ডিসেম্বর চৌমহনি থেকে নুর মোস্তফা সুমন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শিবলি সাদিক ও সাগরকে সোমবার মধ্যরাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছেন। হত্যাকারীরা ২০/৩০ লাখ টাকা দাবী করেছিলো মামুনের কাছ থেকে। মূলত টাকা না দেওয়ায় ওই ঘটনা ঘটায়।
তিনি জানান, শিবলি মামুনের পেট্রোল পাম্পে মিটার রিডার হিসেবে কাজ করতো। তাদের গ্রেফতার করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। মামুন তিন সন্তানের জনক বলেও জানান এসপি।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ এপ্রিল, ২০১৮/মাহবুব