নাটোরের বড়াইগ্রাম ও লালপুরের সীমান্তবর্তী কদিমচিলান এলাকায় বাস-লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু ও নারীসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২৫ জন।
শনিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহদের মধ্য ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন-লেগুনার চালক নীলফামারীর সৈয়দপুরের আব্দুর রহিম (২৮), লেগুনার যাত্রী বড়াইগ্রামের নারায়ণপুর গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী রজুফা খাতুন (৫০), রুপচাঁদের স্ত্রী শেফালী খাতুন (৩৫), জামাইদিঘা গ্রামের নুরফেল সরদারের স্ত্রী লগেনা বেগম (৫০), টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বাসিন্দা রোকন উদ্দিন (৫৫), পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া মীর কামারী এলাকার সালামতউল্লাহর স্ত্রী শাপলা খাতুন (২১)। বাকিদের এখন পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম শামস নুর জানান, বিকেলে উপজেলার কদিমচিলান সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে পাবনা থেকে বগুড়াগামী একটি বাস (ঢাকা মেট্রো চ-৫৬৫৯) সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হন। আহত হন আরও ২৫ জন।
আহতদের উদ্ধার করে বনপাড়ায় ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে সেখানে আরও তিন জন মারা যান। নিহতদের অধিকাংশই লেগুনার যাত্রী। তাদের মধ্য ৫ জন নারী, দু'জন শিশু ও বাকিরা পুরুষ। আহতদের বনপাড়ার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজ্জাকুল ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২০ হাজার এবং আহতদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/২৫ আগস্ট ২০১৮/আরাফাত