দিনাজপুরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এখনও কাটেনি ঈদের আমেজ। বিনোদন কেন্দ্রগুলিতে উপচেপড়া ভীড়। এ অঞ্চলের তাপদাহের ক্লান্তিময় এবং একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে আনন্দের সন্ধানে নিরিবিলি একটু প্রশান্তি নিতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
ঈদ-উল-আযহার আনন্দ ও উৎসবে বিনোদন পিপাসুদের স্বাগত জানাতে রঙিন সাজে সেজেছে দিনাজপুরের সিটিপার্ক, মায়াবী স্বপ্নময় ভুবন স্বপ্নপুরীসহ রামসাগর, মোহনপুরের রাবার ড্যাম, বড়মাঠের ঈদ আনন্দ মেলা, বীরগঞ্জের সিংড়া ফরেস্টসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র।
দিনাজপুর সিটি পার্কের দেয়ালে ও বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত মুর্যালে এ অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন পশু পাখীর অবিকল ভাস্কর্য, ইলেকট্রিক দোলনা, নাগরদোলা, ট্রেন, এ্যাকুরিয়াম।
এদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঐতিহাসিক রামসাগর। এখানে রামসাগর ঘেষা কৃত্রিম পাহড়ি প্রাকৃতিক পরিবেশ, রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা।
অপরদিকে, উত্তরবঙ্গের চিত্ত বিনোদনে সবাই ভীড় জমায় দিনাজপুর শহর থেকে সড়ক পথে বাস-ট্রাক-প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাসে করে ৫২ কিলোমিটার দূরে নবাবগঞ্জ উপজেলার স্বপ্নপুরী বিনোদন কেন্দ্রতে।
স্বপ্নপুরীর গেটে পৌঁছলে স্বাগত জানাবে দন্ডায়মান দুটি বিশাল আকৃতির পরীর প্রতিকৃতি মূর্তি। এ দুটি পরী তাদের দু’ডানা প্রসারিত করে ও একহাত উঁচু করে গেটের দু’পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গেট পেরিয়ে পথের দু’ধারে বিভিন্ন গাছের সমারোহ। চোখে পড়বে পথের দু’ধারে সারি সারি দেবদারু গাছ। আবার নারিকেল গাছের সারি। মনমুগ্ধকর পরিবেশে নিঃস্তবদ্ধ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে মনে পড়বে, রবিঠাকুর কিংবা কাজী নজরুলের গানগুলি।
স্বপ্নপুরীর মেঠো পথে মাহবুবুর রহমান জানায়, দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। একেবারে মনের মতো। রয়েছে কৃত্রিম পশু-পাখির দুনিয়া। প্রবেশ পথে দুটি ড্রাগন সাদর সম্ভাষণ জানানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এরপর দু’এক পা ফেলতেই চমকে উঠতে হয়। সামনেই পথ জুড়ে হাঁ করা এক নর-করোটি। এই নর-করোটির মুখের ভেতর দিয়েই মূল পশু দুনিয়ার পৌছাতে হবে। এখানে রয়েছে কৃত্রিম পাহাড় ও ঝরণা। ঝরণার পানি গড়িয়ে একটি ছোট জলাশয়ে পড়ছে। অবসর যাপনের জন্য রয়েছে একাধিক মনোমুগ্ধকর ডাকবাংলো।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান