কুমিল্লার তিতাসে যৌতুকের জন্য হত্যার পর ওড়নায় গৃহবধূ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তিতাস উপজেলার কালিপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। আজ সোমবার ময়না তদন্তের জন্য গৃহবধূর মরদেহ কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূ কালীপুর গ্রামের মুকবল হোসেনের ছেলে ওমান প্রবাসী মিঠুনের স্ত্রী ও একই গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে ফারজানা আক্তার (২১)।
নিহত ফারজাহানার মামা আবু তাহের জানান, প্রায় দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে ফারজানার সাথে একই গ্রামের মিঠুনের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পর মিঠুন ওমানে চলে যায়। এ মাসের ৬ তারিখ ঈদ করার জন্য মিঠুন দেশে আসে। ফারজানাকে ওমান নিয়ে যাবে বলে সে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। ফারজানার বাবা ঢাকায় একটি গ্যারেজে মাসিক বেতনের কর্মচারী। উক্ত টাকা নিয়েই গত কয়েকদিন যাবত ফারজানার উপর স্বামী ও তার আত্মীয় স্বজন মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। গত রবিবার বিকালে ফারজানাকে অনেক মারধর করে। খবর পেয়ে ফারজানার মা বকুল আক্তার তার মেয়েকে আনতে যায়। কিন্তু মিঠুন বকুলকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। রাতে পরিকল্পিতভাবে ফারজানাকে মিঠুন হত্যা করে এবং লাশ ওড়না দিয়ে ঘরের তীরে ঝুলিয়ে রাখে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে ফারজানা সকলের বড়।
তিতাস থানার এসআই মো. আব্দুর রহমান জানান, হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নারী নির্যাতন আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার পর থেকে মিঠুনের বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার