নাটোরের লালপুরে শিক্ষার্থীকে নিয়ে পালানো ওয়ালিয়া হাকিমুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এ্যন্ড কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক মামুন হোসেনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল মান্নান রবিবার রাতে লালপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। এদিকে শিক্ষার্থীকে নিয়ে উধাও হওয়া সেই শিক্ষক মামুন হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া হাকিমুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এ্যন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ও ওয়ালিয়া পশ্চিম কারিগর পাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মাহি খাতুনকে নিয়ে পারিয়ে যায় গণিত বিভাগের শিক্ষক মামুন হোসেন। পরে শনিবার রাতে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হলেও সেই শিক্ষক পলাতক রয়েছে।
এদিকে এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ শিক্ষার্থী মাহিকে ডাক্তারী পরীক্ষাসহ ২২ ধারা জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আজ সোমবার নাটোর সদর হাসপাতাল ও আদালতে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওয়ালিয়া হাকিমুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক ও লালপুর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত সামেদ মন্ডলের ছেলে এক সন্তানের জনক মামুন হোসেন বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মাহি খাতুনকে নিয়ে শুক্রবার রাতে পালিয়ে যায়। পরের দিন শনিবার এই ঘটনা লোকমুখে জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে মাঠে নামে। অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন তারা।
এঘনায় উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তৎক্ষণিকভাবে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক মামুন হোসেনকে সাময়িক বহিস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রাকিব হোসেন শিক্ষককে সাময়িক বহিস্কারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে শিক্ষক মামুন হোসেনকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক মামুন হোসেনের সাথে মোবাইলফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, তিনি পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, এঘটনায় ছাত্রীর বাবা আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে রবিবার রাতে লালপুর থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছেন। মামলা দায়েরের পর আজ সোমবার ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষাসহ জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আদালতে পাঠনো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক আছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার