নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ইদ্রাকপুরে একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে রোজিনা আক্তার (৩২) নামে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া লাশের পাশ থেকে একটি লাল ওড়না ও মাল্টিপ্লাগের তার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
পরকীয়া প্রেমের জের ধরে প্রেমিকের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ করেছে পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লার ইদ্রাকপুর এলাকার কবরস্থান রোডস্থ হাকিম মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা হতে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রোজিনা বেগম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আইন্তা এলাকার মৃত মমিন মিয়ার কন্যা। মে বগুড়ার নিরব মিয়ার স্ত্রী। তাদের সংসার দুটি কন্যা সন্তান মাহমুদা আক্তার বারিহা (৮) ও আছিয়া আক্তার (৫) রয়েছে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম জানান, ২ মাস আগে রোজিনা আক্তার ও আরিফ ওরফে সঞ্জয় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয়। আরিফ স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে আর রোজিনা গৃহিনী। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি অন্য বাসিন্দারা রোজিনা আক্তারের লাশ ঘরের মেজেতে পড়ে থাকতে দেখে জানালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া লাশের পাশ থেকে একটি লাল ওড়না ও মাল্টিপ্লাগের তার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে আব্দুল করিম আরো জানান, আরিফ ওরফে সঞ্জয় তার স্বামী নয় প্রেমিক। ধারণা করা যাচ্ছে মঙ্গলবার রাতে কোন বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে ওড়না কিংবা মাল্টিপ্লাগের তার দিয়ে রোজিনাকে শাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় আরিফ। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। আরিফ ওরফে সঞ্জয়কে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার