কালবৈশাখী ঝড়ে শরীয়তপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে গতকাল রাতে ১০টি বসতঘর উড়ে গেছে। এসময় নারীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। গাছ পালা ভেঙ্গে সড়কে পড়ে সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আজ দুপুর পর্যন্ত জেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ। স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্শন করেছেন।
সরেজমিনে ঘুড়ে জানা যায়, শরীয়তপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড দাসাত্তা ও বিলাশখান গ্রামে গতরাতের কালবৈশাখী ঝড়ের বিলাশ খান গ্রামের আশ্রাফ আলী মাষ্টার, আশেদ আলী চৌকিদার, খোরশেদ আলী চৌকিদার, আলেক চান চৌকিদার, হারু চৌকিদার, সেলু চৌকিদার, ইদ্রিস চৌকিদার ও নুর হোসেনের বসত ঘর উড়ে গেছে। ঝড়ের তান্ডবে ঘরগুলো উড়িয়ে নিয়ে কৃষি জমিতে দুমড়ে মুচড়ে ফেলেছে। এসব ঘরের বাসিন্দারা এখনো খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে।
ঘড়ের কবলে পড়ে আশ্রাফ আলী, খতেজা বেগম, নারগিস বেগম, আলেক চান চৌকিদার, ফরিদা বেগম ও রুবেল চৌকিদার আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় শরীয়তপুর ১ আসনের সংসদসদস্য ইকবাল হোসেন অপু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ পালা ভেঙ্গে সড়কে পড়ে সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুপুর পর্যন্ত জেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে পারেনি বিদ্যূৎ বিভাগ। ঝড়ের সাথে শিলা বৃষ্টিতে ধান, শরিষা, ধনিয়া, কালোজিরাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, শরীয়তপুর শহরের দাসাত্তাও বিলাশ খান গ্রামে ১০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার